নবান্ন সূত্রে খবর, জেলায় জেলায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজে সিভিল সার্ভিসে প্রশিক্ষণের বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। খুব সহজে বললে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্কুল-কলেজে হবে সিভিল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ-কোচিং। তার জন্য প্রত্যেকটি জেলায় কর্মরত IAS, IPS, WBCS ও WBPS অফিসারদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ১৫ জনের বিশেষ টিম।
এই টিম তাঁদের নির্দিষ্ট জেলায় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের গিয়ে কোচিং, প্রশিক্ষণ এবং সিভিল সার্ভিসের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই স্কুল কলেজে এই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করবেন বিভিন্ন জেলার অফিসাররা। প্রত্যেকটি জেলার টিমে কোন কোন অফিসাররা থাকবেন তার তালিকা শনিবারের মধ্যেই চেয়ে পাঠাল নবান্ন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন দুঃস্থ পরিবারের ছেলে মেয়েরা। যাঁদের মেধা থাকা সত্ত্বেও নামী দামি প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগটুকু হয় না। সঠিক গাইডেন্সের অভাবে তাঁরা পিছিয়ে পড়েন। এই সমস্যা স্থায়ী সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
যদিও এই উদ্যোগ বিভিন্ন জেলার অফিসাররা এর আগেও নিয়েছে। এখনও বেশ কিছু জেলায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা নিজেদের উদ্যোগে এমন ক্লাস নেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার আবেদনকারীদের সহায়তার জন্য বিনা পয়সায় কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেই ২০১৬ সাল থেকে। জঙ্গলমহল এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে কোচিং ক্লাস শুরু করে জেলা প্রশাসন। তবে থেকেই চলছে এই ব্যবস্থা। এরকম ফ্রি কোচিং থেকে লাভবান হয়েছেন বহু মেধাবী পড়ুয়া।
পোশাকি নাম, ‘কেরিয়ার গাইডেন্স পোগ্রাম অ্যান্ড ফ্রি কোচিং ফর ডব্লুবিসিএস এক্সজাৈমিনেশন।’ মেদিনীপুর শহরে জেলা গ্রন্থাগারে বিনা পয়সায় প্রতি বছর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করা ৪০ জন পড়ুয়াকে ট্রেনিং দেন পদস্থ কর্তা থেকে প্রভিশন পিরিয়ডে থাকা অফিসার, কয়েকজন বিডিও, জয়েন্ট বিডিও। যিনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ের সেই ক্লাসেরই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। বহু ব্লকে বিডিওরাও এমন কাজ করছেন। সেই কাজই এবার আরও গুছিয়ে করতে চাইছে রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ভুয়োশী প্রশংসা করেছেন জেলার পদস্থ কর্তারাও।