ব্যারাকপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুই। ভর সন্ধেয় জনবহুল এলাকায় সোনার দোকানের ঢুকে রোমহর্ষক শ্যুটআউট। এলোপাথারি গুলিতে আহত ২। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু সোনার দোকান মালিকের ছেলে ২৭ বছরের নীলাদ্রি সিংহ। মর্মান্তিক ও দুঃসাহসিক এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই। সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানালেন ব্যারাকপুর ডিসি সেন্ট্রাল আশিষ মৌর্য।সাংবাদিকদের পুলিশ জানান, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওড়ার রহড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছে সাকিল খান। অন্যদিকে, বীরভূমের মুরারই থেকে গ্রেফতার হয়েছে জামশেদ আনসারি নামে আরেক অভিযুক্তকে। ঘটনায় সন্দেহভাজন সন্দেহে আগেই তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ব্যারাকপুর ডিসি সেন্ট্রাল । একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ঘটনায় রহস্যভেদ প্রায় সম্পূর্ণ। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু আর পুলিশ জানাচ্ছে না।আশিষ মৌর্য জানান, এই ঘটনার ঘটার পর দ্রুত ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে DCDD,DC Central,ACP Barrackpore, এবং টিটাগড় থানার আইসি সহ পুলিশে একটি টিম বানিয়ে তদন্তে নামে।এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বা তাদের কাছে মূল অভিযুক্তের খোঁজ থাকতে পারে এমন তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
একইসঙ্গে পুলিশ সূত্রে এই ডাকাতি ও হামলার সময় ব্যবহৃত মোটরবাইক সম্পর্কেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। টিটাগর থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উপ নগরপাল মধ্য আশীষ মৌর্য জানান, ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটর বাইকও উদ্ধার করা হয়েছে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। স্থানীয় সূত্রে ও পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা দুটি বাইকে চেপে এসেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইক দুটি সেকেন্ড হ্যান্ড এবং একটি ই-কমার্স সাইট থেকে কেনা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে বাইকটি ফেলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গাড়ির নম্বর প্লেট পরীক্ষা করে উলুবেড়িয়ার এক বাসিন্দার খোঁজ মিলেছে। ঘটনায় তাঁর যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত হয়েছে এমন মোটরবাইক দুটি । হাওড়া ব্রিজ থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ডানলপের দিকে গিয়েছিল ২ মোটরবাইক বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ফুটেজে দুটি মোটরবাইকে দুজনকে দেখা গিয়েছে। তাহলে বাকি দুই দুষ্কৃতী কোথা থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল তা দেখা হচ্ছে খতিয়ে। ডিসি সেন্টাল আশীষ মৌর্য জানান, তদন্তের স্বার্থে বাকি বিষয় এখুনি বলা যাবে না,সকলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। অপরাধীদের ভালো করে দেখা যায়নি। সবটাই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে জানা যাবে।এই মুহূর্তে এই ঘটনায় জড়িত দুজন গ্রেপ্তার এবং একটা বাইক উদ্ধার হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।