Barrackpur Shootout : ‘বাবা হিসেবে কান্না পেয়েছিল…আমার নিরাপত্তা তুলে নিক’, ফের বিস্ফোরক অর্জুন – mp arjun singh says he has no problem if his security withdrawn for the protection of common people


ব্যারাকপুরের আনন্দুপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে দোকান মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। ঘটনার প্রায় দু’দিন পর ফের এই খুনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা।শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন জানিয়েছেন, দরকার হলে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক। তাঁর সংসদীয় এলাকায় বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটনায় তিনি যে মোটেও খুশি নন, তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে ব্যারাকপুরের এই বাহুবলী নেতা।

Barrackpore Shootout : ‘আমি বাকরুদ্ধ…’, ব্যারাকপুরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েও পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা রাজের
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন বলেন, ‘আমি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কোনও কথা বলিনি, যা সত্যি তা বলেছি। সিপি অফিসের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র মোবাইলে নজরদারি চালিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব নয়। তোলাবাজি করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। এটা এলাকার সাংসদ হিসেবে লজ্জার। সেই কারণে আমি বলেছি, যদি পুলিশ কম পড়ে তাহলে আমার নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হোক। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দরকার রয়েছে।’

অর্জুন আরও বলেন, ‘২৭ বছর বয়সী একটা ছেলে মারা গেল, ছ’মাস আগে বিয়ে হয়েছে। আমার ছেলের থেকেও কম বয়স। একজন বাবা হিসেবে ওঁর বাবার থেকে আমার দুঃখ কোনওভাবেই কম নয়। ওঁর মা-স্ত্রীয়ের কান্ন দেখে আমারও চোখে জল এসেছিল, কান্না পেয়েছিল। পুলিশের কাজ সমাজকে সংশোধন করা। চাপ থাকবে, কিন্তু তাসত্ত্বেও পুলিশকে নিজের কাজ করতে হবে। সবার যার যার নিজের কাজ করা উচিত।’

D Bapi Biriyani-তে গুলির ঘটনার সঙ্গে ব্যারাকপুর শ্যুটআউটের যোগসূত্র আছে! বিস্ফোরক অর্জুন সিং
‘আমি যদি এখন নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াই মানুষ তবে কটাক্ষ করবে। যাঁদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, তাদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে আঙুল উঠবেই। সেই কারণে আমি বলেছি, আমার নিরাপত্তা তুলে নিয়ে মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হোক।’

Barrackpore Shootout : আঁকা ছেড়ে ব্যবসায় যাওয়াই হলো কাল
তৃণমূলের এই বাহুবলী নেতা বলেন, ‘বিচারব্যবস্থাকে সামনে রেখেই সবাইকে চলতে হয়। মানুষ আমাকে গালাগালি করতে পারে, কিন্তু সংবিধানকে গালাগালি করে না। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আমার ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু, দেশের সংবিধানের উপর সবার ভরসা আছে। সেটা রক্ষা করাই পুলিশের কাজ। গাফিলতি না থাকলে প্রকাশ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রশ্ন উঠবেই এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে উত্তর দিতে হবে। আমি মানুষের ভোটে জিতেছি, দায়বদ্ধতা রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *