বারবার কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই জামাইষষ্ঠীর দিনই বউ ও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে শান্তিপুর দু’নম্বর কলোনিতে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে পৌঁছন । জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়ির জন্য শাড়ি, আম-কাঁঠাল দই মিষ্টি ছেলের জন্য লজেন্স বিস্কুট নিয়ে আসলেও অনুপ আসতেই বাড়ি ছেড়ে চলে যান তাঁর স্ত্রী। তাঁকে দেখেই শাশুড়ি ও শ্যালক দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। বাড়ি বাইরে দাঁড়িয়ে বহু ডাকাডাকির পর শাশুড়ি বেরলে তাঁকে প্রণাম করতে গেলে তাঁকে ইটের টুকরো ছুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, অনুপের অভিযোগ বাবার গলা শুনে ছোট্ট ছেলেটি সেখানে আসলে তার সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে শ্যালক মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে দেয়।
এ প্রসঙ্গে অনুপ বাবু বলেন, ”লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি, কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাস করাই। আমার সুপারিশে একটি বেসরকারি সংস্থায় স্ত্রী চাকরিও পায়। সেখানেও পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশী একটি ছেলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক হোয়াটসঅ্যাপে থেকে জানতে পারি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়িসহ স্থানীয় কাউন্সিলর বিধায়ক সকলকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি । তাই বাধ্য হয়েই আজকের এই সিদ্ধান্ত। খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিত এক লাখ টাকা নিয়েও তাকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করে রাখার জন্যই এইসব করছে।”
প্রতিবেশীরা এই সমস্ত অত্যাচার দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই পরিবারের প্রতি সকলেরই বিতৃষ্ণা, তাই প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও, গুঞ্জন জামাইটা খুব ভালো।