Jiban Krishna Saha : লুচি-আলুরদম জুটল না, রুটি-সবজিতেই জামাইষষ্ঠী জীবনের – know trinamool mla jiban krishna saha how spent his jamai sasthi in jail


এই সময়: বাড়ির থেকে এসেছিল নানা রকমের ফল। আনা হয়েছিল লুচি-আলুরদমও। কিন্তু পুলিশের আপত্তিতে এ বছর জামাইষষ্ঠীর দিন ভুরিভোজ হলো না মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলবন্দি তিনি। বৃহস্পতিবার সিবিআই তাঁকে আলিপুরের সিজিএম আদালতে পেশ করার পরে কোর্ট লকআপে জীবনকৃষ্ণকে বাড়ির খাবার দেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

Recruitment Scam In Bengal : রাজ্য জুড়েই সক্রিয় ছিল চক্র, কুন্তল-তাপসদের নামে চার্জশিট
কিন্তু তাতে আপত্তি তোলেন লকআপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। সে কারণে এদিন ‘জামাই’ জীবনের আর ভোজ খাওয়া হয়নি। ফলে বাড়িতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এলাহি সব খাবার-দাবার। সিবিআই কর্তাদের সরস মন্তব্য, ‘টাকা খেলে বাড়ির খাবার আর খাবেন কেমন করে! সেজন্য সৎ থাকার প্রয়োজন ছিল।’

Kalighater Kaku : সম্পত্তি, তিন কোম্পানির লেনদেনেও নিয়োগ দুর্নীতি?
এদিন নবম-দশমের মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহা ছাড়াও এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এজেন্ট প্রসন্ন রায়, শেখ শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম, প্রাক্তন উপদেষ্টা প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের জামিনের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে বিশেষ সিবিআই আদালতের বদলে তাঁদের আলিপুরের সিজিএম আদালতে পেশ করা হয়। শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে অবশ্য শারীরিক কারণে আদালতে পেশ করা হয়নি। বিচারক অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করে আগামী ১ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে কোর্ট লকআপে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ঢোকানোর পরেই সেখানে হাজির হয়ে যান তাঁর বাড়ির সদস্যরা। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের বারবার অনুরোধ করেন বিধায়কের কাছে কোনওমতে যাতে বাড়ির খাবার পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু তাতে রাজি হননি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।

Kalyanmoy Gangopadhyay : নাতনির জন্মদিন, তাই প্যারোল চান কল্যাণময়
কারণ, জেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অভিযুক্ত বা আসামীকে বাইরে থেকে খাবার দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। আদালতের নির্দেশ থাকলে বা শারীরিক প্রয়োজনে বিশেষ অনুমতি মিললে তবেই বাড়ির খাবার খেতে পারেন তিনি। কিন্তু এদিন তেমন কোনও নির্দেশিকা না থাকায় অনুরোধ খারিজ হতে মিনিট পনেরোর বেশি সময় লাগেনি। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের কোনও সদস্যও মন্তব্য করতে চাননি।

Kuntal Ghosh : চিঠি তদন্তে জেলে কুন্তলকে জেরা সিবিআইয়ের
তবে একটি সূত্রের খবর, বহুচর্চিত এই মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যম যেভাবে নজর রেখেছে, তাতে খাবার কোনওমতে ভিতরে গেলে যে সমস্যা বাড়তে পারে, তা বিলক্ষণ বুঝে যান পুলিশকর্মীরা। ফলে কোনও রকম বাড়তি সুবিধা দিতে রাজি হননি তাঁরা। জেল সূত্রের খবর, এদিন সকালে ঘুগনি-মুড়ি দিয়ে দিন শুরু হলেও দুপুরে জীবনকৃষ্ণ খান ডাল, অমলেট কারি এবং সব্জি। রাতে তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল রুটি, ডাল এবং সব্জি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তিনজন বিধায়ক জেল হেফাজতে রয়েছেন। গত ১৭ এপ্রিল বড়ঞায় জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা চলে তল্লাশি। তৃণমূল বিধায়ক পুকুরে ২টি ফোন ফেলে দিলেও তা উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়। সেই ফোন থেকে অনেক তথ্য এবং ছবি ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

Partha Chatterjee : অভিষেক-প্রশ্নে ‘বিরক্ত’ পার্থ! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বললেন…
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের খবর, জীবনের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার, নোট প্যাডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি ঘরে হাই স্পিড ইন্টারনেটের সংযোগও ছিল। এ ছাড়াও বিশেষ সফটওয়্যারেরও বন্দোবস্ত ছিল বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করলেও অভিযুক্তের আইনজীবীদের তরফে দাবি করা হয়, তদন্তকারী অফিসার এই দুর্নীতিতে তেমন কোনও প্রমাণই পাননি, যাতে জীবনকৃষ্ণকে আদৌ অভিযুক্ত বলা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *