আমার একমাত্র মেয়ে আমার বাবার বাড়িতে ছিল। আজ সকালে ট্রেনে করে বাড়িতে এসে দেখি গ্রিলের তালা ভাঙা, এরপরে দেখি ঘরের দরজার তালাও ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখি সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে, পাশের ঘরেও একই অবস্থা”।
শিপ্রা বসাকের দাবি, আলমারি ভেঙে সোনা রুপোর গয়না এবং ইমিটেশনের সমস্ত জিনিসপত্র লুঠ করে নেয় দুষ্কৃতীরা। পাশের ঘর থেকে কাঁসার বাসনপত্র সহ মেয়ের একটি সাইকেল সেটাও চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে শিপ্রা বসাকের। অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা।
এরপর অক্লান্ত পরিশ্রমে ধীরে ধীরে ব্যবসা বড় হয়। কিন্তু হঠাৎ যে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন তা স্বপ্নেও কোনওদিন ভাবতে পারেননি। শুক্রবার চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন শিপ্রা বসাক। এরপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে শিপ্রা বসাকের বাড়িতে গিয়ে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
তবে শিপ্রা বসাক দাবি করছেন এই চুরি ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে। কারণ স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁদের ভিটেমাটি জোরপূর্বক কেনার জন্য চেষ্টা করেছিল বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর তাঁর একমাত্র সম্বল বাড়িটুকু। এই চুরির পিছনে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নেই বলে দাবি করছেন শিপ্রা বসাক।
তবে গোটা শান্তিপুর জুড়ে বেশ কয়েকমাস ধরে আবারও চুরির প্রবণতা বেড়েছে। পুলিশ প্রশাসনও রাতভর কড়া নজরদারি চালালেও ঘটে যাচ্ছে একের পর এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। এখন দেখার প্রশাসন এই চুরির ঘটনা গুলি কিভাবে দ্রুততার সঙ্গে দমন করতে পারে।