পরিবার আরও একটি সূত্রে, চাঞ্চল্যকর এক দাবি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনেক দিন থেকেই এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করলে আর প্রেমের সম্পর্ক থাকবে না, প্রেমিক তাঁকে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। সেই কারণেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই পড়ুয়া, এমনটাই অভিযোগ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ -২০ দিন থেকেই ওই যুব আশাকে বলে আসছিল পরীক্ষার ফেল করলে তাদের সম্পর্ক আর থাকবে না। উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরনোর পর মেয়ের মোবাইল ঘেঁটে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে বলে পরিবারের দাবি।
ছাত্রীর কাকা চন্দন সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কে কিছু জানতাম না। ফল বেরনোর পর পরবর্তী সময়ে মোবাইল থেকে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়।’ মৃত ছাত্রীর বাবা নন্দ সাহা বলেন, ‘যে ছেলেটি আমার মেয়ের সঙ্গে এই কাজ করেছে, সেটা যাতে অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে করতে না পারে। সেই কারণেই আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। দোষীর শাস্তি চাই।’
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আইসি কোতওয়ালি অর্ঘ্য সরকার জানিয়েছেন, একটা ঘটনা ঘটেছে তারা তদন্ত করছেন। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিন এক সম্পূর্ণ উলটো ছবি ধরা পড়েছিল। শুভ সর্দার ওরফে কুট্টুস নামের এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নিজের মার্কশিট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন। উচ্চমাধ্যমিক পাশের গোটা কৃতিত্বটাই তিনি নিজের প্রেমিকাকে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনা করতে ভালো না লাগলেও প্রেমিকার অনুপ্রেরণাতেই পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। কুট্টুসের ফেসবুক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।