Durgapur News : আগুনে ঝলসানো দেহ! একই পরিবারের ৩ ভাই-বোনের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য – durgapur three brothers and sisters burnt bodies recovered


Paschim Bardhaman : মর্মান্তিক, সেই সঙ্গে রহস্যজনকও। একসঙ্গে একই পরিবারের তিন ভাই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু হল। আর একই ঘর থেকে উদ্ধার করা হল তিনজনেরই অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ। এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ তার দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল লাউদোহার লস্করবাঁধের আদিবাসী পাড়ায়। আজ শনিবার ভোরে ৩ ভাই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। মৃতদের নাম মঙ্গল সোরেন , সুমি সোরেন ও সুকুমনি সোরেন। এর মধ্যে মঙ্গল সোরেন লাউদোহা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন।

Hridaypur Railway Station : মাঝরাতে হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, সিলিন্ডার ব্লাস্টে পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি
এক বোন সুমি সোরেন কলকাতায় নার্সের কাজ করতেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। অপর বোন বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের বাবা হপনা সোরেন প্রাক্তন ECL কর্মী। মা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। কিভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে নিশ্চিত নন প্রতিবেশীরা।

Kerala News Today : কেরালায় একই পরিবারের ৫ সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
শনিবার ভোরে খবর পেয়ে পাড়ার লোক গিয়ে দেখেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিন ভাই বোন ঘরে পড়ে রয়েছেন। ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিবেশী সাধন টুডু জানান, “ওরা অত্যন্ত ভাল পরিবার ছিল। ঘরে কোনও অশান্তি ছিল না। কিভাবে কি হল বুঝতে পারছি না।

Malda Fire: পাঁচ ঘণ্টা পরও জ্বলছে ইংরেজবাজারে বাজির দোকান, বাড়ল মৃতের সংখ্যা
যদি হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়, তাহলে অন্তত একজন কেউ চিৎকার করত, তাঁর আওয়াজ পাওয়া যেত। বা নিদেনপক্ষে কেউ একজন ছুটে বেরিয়ে আসত বাইরে। আমাদের কাছেও রহস্যজনক লাগছে বিষয়টি”। স্বভাবতই এই রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Birbhum Blast : দুবরাজপুর বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার ২, ডিসপোজাল স্কোয়াডের তল্লাশি
ঘটনাস্থলে ফরিদপুর থানার পুলিশ এসেছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সোরেন পরিবারে কোনও অশান্তি বা ঝামেলার বিষয়ে তাঁদের জানা ছিল না। আর্থিক অবস্থাও যে দুর্বল ছিল তাও নয়। মঙ্গল সোরেন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন।

Malda Fire : ছেলেটা আর বাড়ি ফিরল না ! মালদার অগ্নিকাণ্ডে মৃত রাজুর বাড়িতে শুধুই হাহাকার
প্রতিদিন নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের ডিউটি পালন করতেন বলে জানা গিয়েছে। সুমি সোরেন কলকাতায় নার্স ছিলেন। সেই সঙ্গে পরিবারের অভিভাবক ECL-এ চাকরি করতেন। তাই পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সবাই আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বাড়ির ভিতর সুপ্ত কোনও অশান্তি ছিল কিনা, আর সেই কারণেই তিনজন একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন কিনা, সেই বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কোনও কিছু অনুমান করা সম্ভব নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *