এ দিন বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানের পাশাপাশি এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিলে সাধারণ মানুষকে পুরস্কৃত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পরিবেশ দপ্তর এই পুরস্কার দেবে। বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ প্রশাসনকে পরিবেশ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতেও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই নিরি’র কাছে প্রশিক্ষণের জন্যে রাজ্য সরকার বাজি কারখানার ১৫০ জনকে চিহ্নিত করেছে। জুন মাসে দু’দফায় প্রশিক্ষণ শুরু হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গ্রিন বাজি বিষয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও পরিকাঠামো বিকাশে রাজ্য থেকে প্রতিনিধিদলকে তামিলনাড়ুর ‘শিবকাশি’তে পাঠানোর প্রস্তাবও বিবেচনা করছে সরকার।
রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর গোটা বিষয়টি দেখবে। প্রতিনিধিদলে বাজি প্রস্তুতকারকদের সংগঠনের প্রতিনিধিও থাকবেন। রাজ্যের লক্ষ্য, বাজি শিল্পে পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন। যাতে কর্মসংস্থানের হাতিয়ারের পাশাপাশি নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হয় এই শিল্পে। বেসরকারি বিনিয়োগ আসার সুযোগও রয়েছে।
মুখ্যসচিব বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের কাছে বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানের রিপোর্ট চান। সম্প্রতি এগরা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা ও বীরভূমে বাজির গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর সাফ কথা, জেলায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাইরে সরকারি জমি চিহ্নিত করতে হবে, যেখানে বাজি ক্লাস্টার করা যায়। ক্লাস্টারে শুধু গ্রিন বাজির কারখানারই লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এই পথেই বেআইনি বাজি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাজি মজুতের গুদামগুলিও লোকালয়ের বাইরে রাখতে হবে। নিয়মিত নজরদারিও চালাতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার নির্দিষ্ট নীতিও তৈরি করছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে বাজি পরীক্ষায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ল্যাবরেটরিও ঢেলে সাজার কাজ শুরু করেছে নিরি’র পরামর্শ নিয়ে।