আগে ঠিক ছিল আগামী ৬ই জুন ধনধান্য স্টেডিয়ামে সমস্ত কৃতীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু পরে বিশেষ কারণে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি বছর নিয়ম করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেন। করোনা মহামারির সংক্রমণের কারণে বছর দুয়েক রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়নি।
কিন্তু গত বছর থেকে পুরোদমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের জন্য আবারও রাজ্য সরকার সংবর্ধনার অনুষ্ঠান চালু করেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদ্রাসা, আইসিএসই, সিবিএসই, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কৃতী ছাত্র ছাত্রীরাও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল। আগামী ৩১শে মে উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করা ছাত্র ছাত্রীরাও মার্কশিট পেয়ে যাবেন হাতে। তারপরেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া। তাই বেশি দেরি করলে হয়ত কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাও পাওয়া যেতে পারে।
বিশেষ সূত্রের খবর, সেই কারণেই এগিয়ে আনা হয়েছে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী সময় বরাদ্দ করার পরেই এই সংবর্ধনা সভা আয়োজনের কাজ শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। বেশ কয়েক বছর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হত কলকাতা টাউন হলে। এবার সেই অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পড়ুয়া জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকে নজিরবিহীন সাফল্যের দিনে কৃতীদের কাছে গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। তাক লাগানো ফলের জন্য কৃতীদের অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যেপাাধ্যায়।
জীবনের বিরাট সাফল্যের এই দিনে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা মেলায় আপ্লুত হয়েছিল কৃতী ছাত্রছাত্রীরাও। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় রয়েছেন মোট ১১৮ পড়ুয়া। তাঁদের ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃতীদের তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় থাকা অনেক ছাত্রছাত্রীকেই ব্যক্তিগতভাব ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ১লা জুন সামনে থেকে সবার সঙ্গে পরিচয় করবেন তিনি।