২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকে ‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগান দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সন্ত্রাসের বদলে ‘রবীন্দ্র সংগীত’ বাজানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম আমলে জঙ্গলমহলে সিপিএমের নেতৃত্বে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘লালগড় থেকে শুরু করে কেশপুরে আপনার কী করেননি! মানুষের হাত কেটে নিয়েছেন। তাঁরা আজ সন্ধেবেলা সাজগোজ করে টিভি চ্যানেলে বসে পড়ে কুৎসা করছে। এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম সিপিএম, বিজেপি কংগ্রেসকে ঠেলে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু যে জিরো, তাঁকে পাশ করানো যায় না।’
মমতা বলেন, ‘আমার কেরলের সিপিএম সরকার নই যে মানুষের উপর বদলা নেব। সিপিএমের উপর বদলা না নেওয়া কি আমার অপরাধ? এত অত্যাচারের পর কর্মীদের রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত গাইতে বলেছিলাম। সিপিএম বলে তাদের কেন গ্রেফতার করিনি? দয়া করে গ্রেফতার করিনি। গ্রেফতার করল সব কটাকে করতে হত।’
এরপরই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘সুব্রতদা আজ বেঁচে নেই। তিনি বলতেন, মমতা তোর বড় দোষ। এই সিপিএমটাকে তুই ক্ষমা করে দিলি। আমি বললাম কেন সুব্রতদা? তিনি আমাকে বললেন, সিপিএম যা অত্যাচার করেছে, তাতে সপ্তাহে একদিন রেশনের মতো সিপিএমকে একদিক করে পেটানো উচিৎ। সুব্রতার কথা আজও আমার মাঝেমধ্যে মনে পড়ে। আমরা কাউকে মারব না। পাপের মার বিচুটি পাতা দিয়ে ঘষলেই চলে যাবে, বন্দুকের দরকার নেই।’
অভিষেকে কনভয়ে আক্রমণ ও মন্ত্রীর বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট ছোড়ার ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রী বীরবাহাকে মেরেছে। অভিষেককে অ্যাটাক করতে গিয়েছিল। আমি এখনও বিশ্বাস করি, কুড়মি ভাইরা এই কাজ করেনি। টাকা জোরে বিজেপি এই কাজ করেছি। কিন্তু আমি বলব টাকার জোরে কোনওভাবেই বাংলাকে দখল করে নেওয়া যাবে না।’