SSKM Hospital : হৃদরোগ-স্ট্রোক আক্রান্তদের চিকিৎসায় নয়া পদক্ষেপ, SSKM-এ চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক ইউনিট – sskm hospital will start two hyper active unit for stroke and heart patients


বেশ কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে রাজ্যের সেরা সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মরণাপন্ন রোগীকে ভর্তি করার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বিতর্কের মধ্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সুখবর দিল SSKM। তৃণমূল মুখপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কলকাতার এই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে দেশের সর্ববৃৎ দুটি হাইপার অ্যাক্টিভ ইউনিট চালু হচ্ছে।Madan Mitra SSKM Kolkata : ‘মদনের রোগী বলে বাড়তি সুবিধা নয়…’, SSKM-র বিরুদ্ধে ‘কালারফুল বয়’-র অভিযোগে পালটা চন্দ্রিমা
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, SSKM-র অ্যানেক্স হিসেবে পরিচিত ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা ও কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে এই বিশেষ হাইপার অ্যাক্টিউ ইউনিট দুটি চালু করা হচ্ছে। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট বা এইচডিইউ তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে ৪০ বেডের স্ট্রোক ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দুটি জায়গায় স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫৯টি বেড বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, দেশের কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের স্ট্রোক ইউনিট নেই।

Madan Mitra: SSKM-এ দালাল চক্রের অভিযোগ নস্যাৎ! নাম না করে মদনকে কড়া জবাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা পাশাপাশি গোটা রাজ্যে হৃদরোগ ও স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এমনকী কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও এই সংখ্যাটা এখন অনেকটাই বাড়তির দিকে। জেলা থেকে আসা রোগীদের সংখ্যা কলকাতার হাসপাতাল গুলিতে ক্রমেই বাড়ছে। রোগীর চাপ সামালাতে বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেই কারণে এই বিশেষ ইউনিট চালু হলে একদিকে যেমন রোগীদের পরিষেবা দেওয়া যাবে, তেমনই চাপ সামাল দেওয়াও অনেকটা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে সুস্থ করতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। অধিকাংশ চিকিৎসকের দাবি, ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এর মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই বিশেষ ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Madan Mitra : ‘মুকুলের মতো অ্যালজাইমার্স হয়েছে, অবসরের প্রস্ততি নিচ্ছি!’ ফের বেফাঁস মদন
সম্প্রতি রোগী ভর্তিকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ায় SSKM হাসপাতাল। দুর্ঘটনা গুরুতর জখম এক যুবককে SSKM-এ ভর্তি করতে না পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বেনজির আক্রমণ করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। পালটা হাসপাতালের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে মদনের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরবর্তী সময়ে ওই যুবকের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা হলেও পরে তাঁর মৃত্যু হয়। যুবকের মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে, ভর্তিতে দেরির কারণেই কী অল্প বয়সে ঝরে গেল একটি প্রাণ?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *