ভাষণ চলাকালীনই নওশাদ আপত্তি করেন। ভাষণ শেষে সাংবাদিকদের বৈঠকে বিশ্বজিৎ মাইতি অন্য ব্যাখ্যা দেন তিনি বলেন, ”গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাত কাটার কথা বলেছি। তৃণমূলের ভোট লুট করার প্রক্রিয়াকে যাতে আটকানো যায় ।” এ প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ” হিংসা আমরা পছন্দ করি না কিন্তু ভোট লুট করতে আসলে আইনি পথে তাদের যাতে হাত কাটা যায় সেটা দেখব। যাতে তাদের জেলের মধ্যে রাখা যায় সে ব্যবস্থা আমরা করব।”
একসঙ্গে মধ্যমগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শালীনতা বজায় রাখা উচিত । তাদের শালীনতা নেই বলেই এমন মন্তব্য করেছেন। বিজেপি নেতা প্রদীপ সাহা যদিও সরাসরি আইএসএফকে সাম্প্রদায়িক দল বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অন্যদিকে সুদীপ্ত চন্দ্র,সিপিআইএম ,এরিয়া কমিটির সদস্য বলেছেন,” হাত কেটে নেওয়া পা কেটে নেওয়া এগুলোতে তারা বিশ্বাসই নন কিন্তু মধ্যমগ্রাম পৌর নির্বাচনে একাধিক ওয়ার্ডে ভোট লুট হয়েছে এবং তৃণমূল ভোটের রাজনীতি করে।”
অন্যদিকে, কুড়মি ইস্যু নিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক ISF নেতা নওশাদ বলেন, ”প্রত্যেক ভোটের আগে একটা ইস্যু তৈরি করা হয়। এটাও সেই ইস্যু। তবে একুশের ভোটের আগে কর্মীদের নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট ঘুচতেই আর কিছু নেই। এই বঞ্চনার জবাব কুড়মি নেতারা, সাঁওতাল ভাই বোনেরা দেবেন। তবে পঞ্চায়েতে এই কুড়মি আন্দোলনের প্রভাব পড়বে। ”