Arpita Mukherjee: ফ্ল্যাটে কোটি কোটি টাকা কার? আদালতে স্পষ্ট উত্তর অর্পিতার – arpita mukherjee lawyer says in court that her client is innocent


ইডি তল্লাশিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা সহ বহুমূল্য সম্পদ। মালিকানা কার? অবশেষে আদালতে মুখ খুললেন অর্পিতা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সমস্ত দায় ঝাড়লেন তিনি। আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে অর্পিতা স্পষ্ট জানান, সমস্ত কিছু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।Partha Chatterjee : অভিষেক-প্রশ্নে ‘বিরক্ত’ পার্থ! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বললেন…

গ্রেফতারির ৩২২ দিনের পর আদালতে শুনানিতে অবশেষে মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ১০ মাস পর এদিন আদালতে সশরীরে উপস্থিত হন তিনি। এদিন অর্পিতার আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল শুধুমাত্র পরিস্থিতির শিকার। সমস্ত দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুর্নীতিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোনও ভূমিকা নেই বলে সোমবার আদালতে দাবি করেন অর্পিতার আইনজীবী।

Arpita Mukherjee: ১০ মাসে আমূল বদল! আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে এসে অর্পিতা বললেন…

যদিও ইডির দাবি, দুর্নীতি নিয়ে অর্পিতা দায় এড়াতে পারেন না। সমস্ত কিছু তিনিও সমানভাবে ভোগ করেছেন। দুর্নীতির তদন্তে একাধিক সংস্থার নাম উঠে আসে, সেখানেও সামনে আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৩১টি জীবনবীমা নমিনি ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর সমস্ত পেপারে সই ছিল অর্পিতার বলে জানিয়েছিল ইডি। এই বিষয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী পালটা দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের নামে ওই সব সংস্থা থাকলেও সেগুলি সামলাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই।

Partha-Arpita Love Story : ‘…গজব কাহানি’ থেকে ‘নন ইস্যু’! অপা-র রঙিন খুনসুটি নিয়ে সাদা-কালোয় শাসক-বিরোধী

একইসঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দাবি, অর্পিতা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। এমনকী অর্পিতাকে গ্রেফতারের আগে তাঁর কোনও বয়ান রেকর্ড করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী। অর্পিতার বিরুদ্ধে ইডির আনা অসহযোগিতার অভিযোগ নিয়েও সরব হন আইনজীবী। আদালতের সামনে তিনি দাবি করেন, এটি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর।

Rose Valley Chit Fund : কোর্টে ইডির চার্জশিটে নাম গৌতম-পত্নী শুভ্রার

প্রসঙ্গত, ইডি তল্লাশি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে প্রায় নগদ ৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয় ৫ কোটি ৮ হাজার টাকার সোনা। এই প্রথম নয়, এর আগেও আদালতে অর্পিতা জানিয়েছিলেন, ওই অর্থ তাঁর নয়। উলটোদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরও বক্তব্য ছিল, এই অর্থের সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগাযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবেই তখন প্রশ্ন উঠছিল, এই বিপুল ধনরাশি কার? সে ব্যাপারে যদিও তখন স্পিকটি নট ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *