অর্থ দফতরের অনুমোদনের পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের আয়ুষ শাখার তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সরকারের আয়ুষ ইনস্টিটিউশনে কর্মরত সমস্ত ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের সমস্ত ট্রেনিরা এবার থেকে তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। ২৬ মে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে। সোমবার জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিটিতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে পয়লা মার্চ ২০২৩-তে ডিএ-এর বর্তমান হার অনুযায়ী এই মহার্ঘ ভাতা লাগু হবে । এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত হাজার হাজার হাউস স্টাফ, ইন্টার্ন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিরা। স্ট্রাইপেনের সঙ্গে এবার তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হলে মাস পোহালে বাড়বে তাদের প্রাপ্তি।
উল্লেখ্য, এতদিন ধরে এই ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিরা কোনও ধরনের মহার্ঘ ভাতাই পেতেন না। বেতন ছাড়া স্ট্রাইপেন পাওয়া এই কর্মীদেরও মহার্ঘ ভাতার আওতাও আনার সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া। যদিও এই সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীদের চিঁড়ে ভিজছে না। তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ-এর দাবিতে অনড়।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জানিয়ে এসেছেন, রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে আর বাড়তি মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ DA দেওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি নবান্নে তরফে সরকারি কর্মচারীদের জন্য জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে টিফিন ব্রেকের পর অফিসের বাইরে যেতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, বকেয়া DA-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের আন্দোলনকে কমজোরি করতেই এমন নির্দেশিকা সরকারের।