আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে জানান, ”আমাদের কোনও দাবিই মানা হচ্ছে না। আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি এই হামলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের সম্প্রদায়ের কেউ যুক্ত নন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে আসল দোষীদের চিহ্নিত করা হোক। কিন্তু তারপরেও কোনও তদন্ত না করেই রাজেশ মাহাতো সহ ৯ জনকে গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করছি। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন কুড়মিরা কিছু করেনি, তারপরই কুড়মিদের গ্রেফতার করা হল। এ ঘটনায় আদিবাসী কুড়মি সমাজ তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে।”
একইসঙ্গে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো শীঘ্রই সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দায় বিশাল জনসভার আয়োজন করতে চলেছে কুড়মি সমাজ। চার রাজ্যের কুড়মি জনজাতির বাসিন্দারা তীব্র প্রতিবাদ কর্মসূচি গড়ে তুলতে চলেছেন। উপজাতি স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কুড়মিরা। এই নিয়ে সরকারি বঞ্চনার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। সেই আন্দোলনের সঙ্গে এবার যুক্ত হল এই ঘটনা।
কুড়মি সমাজের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। পেশায় শিক্ষক কুড়মি সমাজের রাজ্য সম্পাদক তথা আন্দোলনের অন্যতম মুখ রাজেশ মাহাতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের বনপুরা হাইস্কুল থেকে রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হয় কোচবিহারে। সরকারের সেই পদক্ষেপকে প্রতিহিংসামূলক আচরণ বলে ব্যাখা করেন তিনি।