মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে BJP-তে নেওয়ায় মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এই হিন্দু সংগঠন। শান্তিনিকেতনের রাস্তায় পথসভা করে প্রতিবাদ করে এই সংগঠন। অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই এবার পথে নামতে দেখা গেল একটি হিন্দু সংগঠনকে। এই বিষয়ে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি এদিন জানান, “মোদী এবং BJP বলেন ‘না খায়েঙ্গে, না খানে দেঙ্গে’।
তাহলে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের মতো চোর BJP-তে কি করছে? সবাই জানেন যে ওরা চোর। তাহলে ওই দুজনকে ধরে এজেন্সির হাতে কেন তুলে দেওয়া হচ্ছে না? কেন ওদের দুজনকে জেলে ভরা হচ্ছে না? এই প্রশ্নর জবাব মোদীকে দিতে হবে”। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ভারতবর্ষ হিন্দু রাষ্ট্র।
এই হিন্দু রাষ্ট্রে গো-হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই প্রশ্নের জবাবও মোদীকেই দিতে হবে যে উনি কবে আইন করে গোটা দেশে গো-হত্যা বন্ধ করবেন”। সভাপতি আরও বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা সামনে থেকে লড়াই করবে। হিন্দুত্বের দাবি নিয়েই আমাদের লড়াই শুরু হবে”।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে মাত্র একবারই পৌষমেলা ও বসন্তোৎসব হয়েছিল৷ তারপর থেকে বন্ধ এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব দুটি৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র। সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল৷ আর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর আচার্য হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাই এই দুটি উৎসব ফেরানোর দাবিতেও পথে নেমেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে চালু করতে হবে এই উৎসবগুলি। এছাড়াও, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভোলেবোম রাইস মিলের কর্মহারা শ্রমিকদের চাকরির দাবিও তোলেন তাঁরা।