Baguran Jalpai| New Sea Beach near Kolkata


সৈকতপ্রেমীদের জন্য সুখবর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির বগুড়ান জলপাই এবার ‘বায়োডাইভারসিটি হেরিটেজ সাইট’ বা জীববৈচিত্র্য ঐতিহ্যের তকমা পেল। জেলা বন দফতর সূত্রে খবর ,সরকারিভাবে এই তকমা পাওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। নির্দেশিকাও বার হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে খুশি পর্যটনপ্রেমীরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কাঁথি-১ ব্লকের মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বগুড়ানজালপাইয়ে প্রায় ৭.৩ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত রয়েছে। অন্যান্য সৈকতের তুলনায় এই সৈকত অনেকটাই নির্জন। দিঘার ভিড় এড়িয়ে অনেকেই এখন এই স্থানে আসেন। নির্জনতার টানেই এখানে ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন ভিড় জমান। হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল-লজও গড়ে উঠেছে বগুড়ান জালপাইতে।

বগুরান জলপাই
অন্যান্য সৈকতে যেখানে লাল কাঁকড়া সেভাবে দেখা যায় না, সেখানে বগুড়ানজালপাইয়ের সৈকতে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।মন্দারমণির মতো কাঁকড়া দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এখানে ডোলিলা-ফেডিলা প্রজাতির কাঁকড়াও রয়েছে বলে বন কর্তাদের একাংশের দাবি। রয়েছে বিরল প্রজাতির লিমুলাস বা রা‌জ কাঁকড়া। সৈকতের গা ঘেঁসেই রয়েছে দীর্ঘ ঝাউবন এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। সেখানে এসব ছাড়াও গোল্ডেন জ্যাকল, বেঙ্গল ফক্স, মনিটর লিজার্ড, জাঙ্গল ক্যাট সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণের আনাগোনা রয়েছে। সমুদ্রসৈকত ঝাউবন সঙ্গে সবুজায়নে ভরা এই এলাকাটি প্রাণীদের বাসস্থানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। সে কারণে বেড়েছে নানা বন্যপ্রাণ।

Digha Sea Beach : দিঘা সৈকতে মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ!

এই খবরে খুশি এলাকার মানুষজনও। যদিও স্থানীয়দের দাবি, বগুড়ান জলপাই সৈকতে প্রশাসনিক নজরদারি নেই। এভাবে চললে উপকূলের পরিবেশের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও।

Digha Beach: ঢেউ-ভোরের পর এবার দিঘার নতুন আকর্ষণ সূর্য সাগর, অপেক্ষা কতদিনের?
স্থানীয় বাসিন্দা পরিবেশপ্রেমী দেবাশিস শ্যামল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বর্তমানে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। এরকম একটি পরিস্থিতিতে বগুড়ান জালপাইকে জীববৈচিত্রের ঐতিহ্যক্ষেত্র ঘোষণা নিঃসন্দেহে খুশির খবর।

Bardhaman Plastic Road: বর্ধমানে নীল রাস্তা তৈরিতে খরচ কত? ‘ওয়াটার প্রুফ রোড’ রূপে তো ভালো, গুণে কেমন?
বাসে কন্টাই নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে বগুরান জলপাই আসতে সময় লাগে মেরেকেটে ১৫-২০ মিনিট। ট্রেনে কাঁথি নেমেও বগুরান আসা যায়। তবে দিঘার মতো বগুরান জলপাইতে মাতাল করা ঢেউ নেই। বরং সমুদ্র এখানে বেশ শান্ত। তবে বন কর্তাদের চিন্তা একটাই, অন্যান্য সৈকতের মতো যদি এখানেও ব্যাপক হোটেল গড়ে ওঠে তবে বন্যপ্রাণের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। ফলে সেদিকে প্রশাসনের সহযোগিতা অবশ্যই দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *