সৌরভ চৌধুরী: একদিকে নৃশংস খুন, অপরদিকে শহরের মাঝে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। উভয় ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রামে। আজ ভোর ৫টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের আগুইবনি নেতুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রজত কুমার বায়েন নামে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস।
রজত কুমার বায়েনের ভাই প্রসেনজিৎ কুমার বায়েন জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের তিন ভাই। তাঁরা আলাদা আলাদা থাকেন। কেউ কারও সাথে কথা বলেন না। গত তিন-চার দিন হল রজত বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছিলেন না। তার স্ত্রী এবং বাচ্চারা সবাই মামাবাড়ি গিয়েছেন। তাঁকে বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ির বাইরে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের। তখনই পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যান তাঁরা। গিয়ে দেখেন বাড়ির মধ্যে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রজত কুমার বায়েনের দেহ। দেহে পচনও ধরে গিয়েছে। বাড়ির সব জিনিসপত্রও এলোমেলো হয়ে পড়ে রয়েছে। আলমারি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রজত কুমার বায়েনের শরীরে একাধিক অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওদিকে ঘরের জিনিসপত্রও এলোমেলো ছিল। তাই প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, কেউ বা কারা রজত বায়েনকে খুন করেছে। কিন্তু কী কারণে কেন কে বা কারা রজত বায়েনকে খুন করেছে? সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। গোটা ঘটনায় ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। ধন্দে পুলিসও। সব দিক খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস।
অপরদিকে ঝাড়গ্রাম শহরের ছিমছাম মোড় এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় আম বাগানের মধ্যে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবক। স্থানীয়রা যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখেন। তাঁরাই দেখে পুলিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দমকল এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিত্সকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পর পর এই দুটি ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরে। দুটি ঘটনাতেই আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, চুরি করতে এসে ধরা পড়ল চোর, জামাই আদরে চোরকে খাওয়ালেন বাড়িমালিক!