সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফাতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র সুদীপ রাহা বলেন, ‘বিজেপির যা মনে হয় বলতেই পারে। এই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। পরবর্তী গ্রেফতার নিয়ে আমার চিন্তিত নই। এই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তো বলছি যাঁরা দোষী তাঁদের শাস্তি হোক। আমাদের একটা দাবি তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে। কেউ দোষ করলে গ্রেফতার হবে। আমরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করতে পেরেছি। যাঁরা কাগজে মুড়ে টাকা নিয়েছিল তাঁদের এখন বিজেপিতে দেখা যাচ্ছে।’
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শিক্ষা দুর্নীতিতে এখনও অবধি যতজন গ্রেফতার হয়েছে, এটা সব থেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বড় গ্রেফতারি। এই ব্যক্তি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, তদন্ত তাঁর অবধি থেমে যাবে। তাঁর সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ গ্রেফতার করতে পারবে না। সেই কারণে এই গ্রেফতারি তাৎপর্যপূর্ণ।’
বিজেপি কাউন্সিল সজল ঘোষ বলেন, ‘কাকা জমা হয়েছে মানে ভাইপোর কলারে হাত পড়েছে। বাংলার যুবরাজকে আমরা গারদের পিছনে দেখতে চাই। কাকুর পর ভাইপো ধরা পড়বে। ভাইপোর সঙ্গে পিসিও জেলে যাবে। বাংলার মানুষ এটাই প্রার্থনা করছে। আর দেরি নয় আরও দেরি হলে তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগবে।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী টুইটে লিখেছেন, ‘কাকু ডাকটাও বদনাম হয়ে গেল শেষমেশ। কর্মচারী কাকু আপাতত হেফাজতে। তাঁর বস ভাইপো কবে হবে? ‘কংগ্রেস নেতা কৌস্তব বাগচী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘তদন্ত সঠিক পথে চললে কালীঘাটের কাকুর কালীঘাটে পিসি ভাইপো গ্রেফতার হবে। অনেকটা দেরি হল। তবে ইংরিজিতে একটা কথা আছে ‘বেটার লেট, দ্যান নেভার’। তদন্ত প্রভাবিত না হলে পিসি-ভাইপোও গ্রেফতার হবেন।’