তারপর দুপুর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের লোকেরা এদিক ওদিক অনেক খুঁজেও না পেয়ে শিশুটিকে আশেপাশের বাড়িগুলিতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তখনই রুমা নামের এক মহিলার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে সেখানে ওই শিশুকে লেপচাপা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। শিশুটির গলায় এবং কানে সোনার গয়না ছিল। সেগুলিও ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে ওই মহিলাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক, জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
মৃত শিশুটির মা এই বিষয়ে জানান, “গতকাল আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আমার বাবার বাড়ি ঘুরতে আসি। তারপর দুপুর থেকে আমার মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় না পেয়ে আশেপাশের বাড়িগুলিতে তল্লাশি করি। শেষে রুমা খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে আমার মেয়েকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাই”।
জানা গিয়েছে, গ্রামের লোকেরা ওই মহিলা আটক করে পুকুরিয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মৃত শিশুর মা আরও বলেন, “আমার মেয়েটির গলা এবং কানে সোনার গয়না এবং পায়ে রুপোর নুপুর ছিল। সেগুলি আত্মসাৎ করার উদ্দেশেই আমার মেয়েটিকে মেরেছে ওই মহিলা। আমরা ওই মহিলার ফাঁসি চাই”।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। বছর ছয়ের ওই শিশুকে গয়না আত্মসাৎ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে রুমা খাতুনের বিরুদ্ধে। নাবালিকা আসিফা আখতারের পরিবারের অভিযোগ, রুমা খাতুন আসিফা আখতার কে শ্বাসরোধ করে খুন করে। সেই ঘটনায় পুকুরিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে রুমা খাতুনকে।
আজ রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “ওই মহিলার বিরুদ্ধে কখনও এই ধরনের অভিযোগ আসেনি। এমনকি চুরির অভিযোগও ছিল না। হঠাৎ করে কেন এরকম কাণ্ড করে বসল, আমরা ভাবতেই পারছি না। মনে হচ্ছে লোভে পড়ে এই খুন করে ফেলেছে”।