অমিত শাহের মণিপুর সফর প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি চেয়েছিলাম যাতে সেনা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আমাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়। সেটা দেওয়া হলে আমি অত্যন্ত খুশি হব। আমি কোনওভাবেই শান্তি বিঘ্নিত করতে চাই না। শুধুমাত্র মণিপুরের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওখানে গিয়ে আদৌ কোনও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। কত লোক এই অশান্তিতে মারা গিয়েছেন, তা বলেছেন? কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন, তা জানিয়েছেন? মণিপুর কি এখন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে না কি? কী পরিস্থিতি ওখানে? আমরা দেশাত্মবোধক মানুষ হিসেবে তা জানতে চাই।”
প্রায় একমাস ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে। লাগাতার চলছে সংঘর্ষ। বিক্ষোভে উত্তাল উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় চলেছে গুলি। অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। এই পরিস্থিতিতে কী করে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব সেই রাস্তা খুঁজতে চারদিনের সফরে মণিপুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাতে ইম্ফলে নামেন তিমি। এরপর থেকেই একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন তিনি। বুধবার সেখানে একটি সর্বদলীয় বৈঠকও ডেকেছেন অমিত শাহ।
মণিপুরের হিংসাতে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। মণিপুর সরকারের তথ্য এবং জনসংযোগ দফতর, একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে। বাকি ৫ লাখ টাকা দেবে কেন্দ্র। একই সঙ্গেই সংঘর্ষে নিহত পরিবারগুলির একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই হিংসার ঘটনায় একাধিক নাগরিক, পুলিশ কর্মী এবং ৪০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে এবং এলাকায় শান্তি ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ।