Pice Hotel Kolkata : ৩০ টাকাতেই ভরপেট খাবার, হেঁশেল সিক্রেট ফাঁস গড়িয়াহাটের ভাইরাল ঠাকুমার – kolkata 30 takar vater hotel gariahat thakuma opens up about her life struggle good news


৩০ টাকাতেই ভরপেট খাবার। সঙ্গে মায়ের হাতের ছোঁয়া! গত ৫০ বছর ধরে গড়িয়াহাটে ভাতের হোটেল চালাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ঠাকুমা ওরফে মঙ্গলাদেবী। হিন্দুস্থান পার্কের বিপরীতে একটি গাছের নীচেই তিনি শুরু করেছিলেন ‘জীবন-যুদ্ধ’, অন্যের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে ছেলেমেয়েদের পেট চালানোর লড়াই।

Jamai Sasthi : ঝক্কি কমবে শ্বশুরবাড়ির হেঁসেলে, জামাইয়ের জন্য ইনস্ট্যান্ট বাসন্তি পোলাও-মটন কোরমা থালি! কী ভাবে বুক করবেন?
এক, দুই, তিন করে এরপর কেটেছে ৫০টা বছর- সংসার কিছুটা স্বচ্ছল হয়েছে। ছেলেমেয়েরাও বড় হয়েছেন। কিন্তু, হোটেলের হাল ছাড়তে পারেননি মঙ্গলাদেবী। ভোর পাঁচটায় দোকান খুলে কুটনো কাটা থেকে শুরু করে বাটনা বাটা সব করেন একা হাতে। ১১টার মধ্যে তৈরি হয়ে যায় ভাত, ডাল, সবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপরেই বিভিন্ন গ্রাহকের পছন্দমতো খাবার তুলে দেন ঠাকুমা।

Kolkata Today News

দোকান সামলাচ্ছেন ‘ঠাকুমা’

মঙ্গলাদেবী জানান, আজও তাঁর হোটেলে ৩০ টাকায় পাওয়া যায় পেটভর্তি সবজি ভাত। কাউকে যাতে পকেটের করুণ হালের জন্য খালি পেটে ফিরতে না হয়, সেই জন্যই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।

Food Safety Officer: ‘ডিউটি তো, ভয় কীসের’, চন্দ্রকোণার ফুড সেফটি অফিসার দেবারতির গলায় ‘লড়কে লেঙ্গে’
মডিউলার কিচেনের জামানাতেও কাঠের উনুনেই রান্না করেন ৭০ ছুঁই ছুঁই এই প্রবীণা। কী ভাবে তাঁর এই পাইস হোটেলের যাত্রা শুরু?

মঙ্গলাদেবী জানান, ১৮ বছর বয়সে তিনি এই হোটেলটি শুরু করেছিলেন। স্বামীর চাকরি চলে গিয়েছিল। এরপর সংসার এবং ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব এসে পড়েছিল তাঁর কাঁধে। তিনি একা হাতে একদিকে যেমন তাঁদের মানুষ করেছিলেন, তেমনই পড়াশোনা থেকে শুরু করে সুখ স্বাচ্ছন্দের জন্য টাকা রোজগারের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মঙ্গলাদেবী।

Arpita Partha : মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কোর্টে দায় এড়িয়ে দাবি অর্পিতার
তিনি বলেন, “এখন ওরা সকলে বড় হয়ে গিয়েছে। আমার মেয়ের কাছে আমি থাকি। কিন্তু, এই দোকানটা বন্ধ করতে চাই না। যতদিন বেঁচে থাকব দোকানটাও চলবে।” বর্তমানে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে মাত্র ৩০ টাকায় সবজি ভাত দেওয়া কী ভাবে সম্ভব?

Kolkata Hotel

‘৫০ বছর আগে ব্যবসা শুরু করেছিলাম’

মঙ্গলাদেবী জানান, এখনও দোকানের সব কাজ তিনি নিজের হাতে করেন। কোনও লোক রাখেননি তিনি। আর অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য তিনি কিছুটা টাকা বাঁচাতে পারেন। ফলে অপেক্ষাকৃত কম দামে গ্রাহকদের ভরপেট খাবার দিতে পারেন তিনি।

Sadhan Chakraborty : যাদবপুরে সাধন যোগ দিতে পারলেন না, বাড়ল জটিলতা
গাছের নীচে কয়েকটি ত্রিপলকে আশ্রয় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঠাকুমার এই পাইস হোটেল। এখনও ঝড়-বৃষ্টিতে তাঁর বুক কেঁপে ওঠে। কিছু গ্রাহক ছাতা ধরে খাবার খেলেও অনেকেই সেই সময় তাঁর দোকান থেকে মুখ ফেরান। কিন্তু, এই প্রতিকূলতাগুলো চেনা মঙ্গলাদেবীর। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে রান্না করছি সকলের জন্য। আমার খাবার ভালো হলে, দোকান পরিচ্ছন্ন হলে সকলেই আসবেন।”

Ration Shop : খাদ্যদ্রব্যের অপচয় রোধে রাজ্যের প্রতি নির্দেশিকা কেন্দ্রের
সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে আপাতত ভাইরাল ঠাকুমা। যদিও নেটপাড়ায় হইচই ফেলেও এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই মঙ্গলাদেবীর। তিনি জানান, গ্রাহকদের ভালো খাবার খাওয়ানো এবং কেউ যাতে অর্থের অভাবে খালি পেটে না ঘুমোন তা নিশ্চিত করতে চান তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *