বৃদ্ধার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সত্তরের কোট্টাক্কি সীতালু জানুয়ারির মাঝামাঝি পরিবারের সঙ্গে বারাণসী যাওয়ার সময়ে বিজয়ওয়াড়া স্টেশনে নেমে হারিয়ে যান। তার পর বহু চেষ্টাতেও বাড়ির লোক খুঁজে পাননি তাঁকে। এরই মধ্যে বৃদ্ধা ট্রেনে কলকাতায় চলে আসেন। কোনও ভাবে জখমও হন রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রেড রোডের কাছে তাঁকে কোমর ভাঙা অবস্থা উদ্ধার করে ময়দান থানার পুলিশ ভর্তি করে এসএসকেএমের ট্রমাকেয়ার সেন্টারে। অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন সীতালু। তাঁকে ট্রমাকেয়ার থেকে পিজির অ্যানেক্স হাসপাতাল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শম্ভুনাথের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাই বৃদ্ধার খেয়াল রাখছিলেন, যত্ন করছিলেন। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন যাতে সীতালুর পরিবারের সন্ধান মেলে। পিজির অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিয়োর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। ওঁদের উদ্যোগেই খোঁজ মেলে সীতালুর নাতি কোট্টাক্কি রবিকুমারের। পরিবার মিলে গেল, এটাই সবচেয়ে আনন্দের।’ তিনি জানান, সোমবার রবিকুমার কলকাতায় এসে দিদিমাকে চিহ্নিত করেন। পুলিশি নিয়ম মানার পরে ময়দান থানা ছাড়পত্র দেয় তাঁদের। সন্ধ্যায় তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।