Pijush Saha Arrested, Fraud Case, Tollywood, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিঠুন, প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে জিৎ, অঙ্কুশ, সোহম অভিনয় করেছেন তাঁর পরিচালনায়। কিছুদিন আগেই লঞ্চ করেছিলেন তাঁর ছেলে প্রিন্সকে। অন্যদিকে হিরো বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক পীযূষ সাহার বিরুদ্ধে। এই মামলায় গত রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জামিনের আবেদন করলেও সোমবার সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে বলেই খবর। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূমের এক উঠতি অভিনেতা অক্ষয় গুপ্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিরো বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা অক্ষয় গুপ্তের কাছ থেকে ২০লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কথা ছিল তাঁর ছবির হাত ধরে টলিউডে পা রাখবেন সেই উঠতি অভিনেতা। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেই ছবি তৈরি করেননি পরিচালক। এরই মাঝে নিজের ছেলেকে টলিউডে লঞ্চ করেন এই বর্ষীয়ান পরিচালক প্রযোজক। এরপরেই অক্ষয়ের সঙ্গে শুরু হয় মনোমালিন্য। পীযূষের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, অক্ষয়ের টাকা ফিরিয়ে দিতেও রাজি ছিলেন পীযূষ সাহা। তাঁর থেকে কিছুটা সময়ও চেয়েছিলেন। কিন্তু এর মাঝেই পুলিসের দ্বারস্থ হয় অক্ষয় গুপ্ত। অন্যদিকে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে অক্ষয় জানান যে, তিনি টাকা ফেরত চাইলেও পীযূষ সাহা তাঁকে টাকা ফেরত দিতে চাননি। তিনি ক্রমাগতই অক্ষয়কে বলেছেন যে তিনি ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চান। তবে এই ঘটনা সাম্প্রতিক নয়, ২০১৯ সালে পীযূষকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অক্ষয়। ২০২২ সালে টাকা ফেরতের আর কোনও আশা না দেখে পরিচালক প্রযোজকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন উঠতি এই অভিনেতা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রবিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, প্রথম ছবিতেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন পরিচালক পীযূষ সাহা। পরপর চারটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন তাঁরা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রাজু আঙ্কেল’। এরপর মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘তুলকালাম’ বানান তিনি। ২০০৮ সালে তাঁর ছবি ‘বাজিমাত’এ ডেবিউ করেন সোহম, বিপরীতে ছিলেন শুভশ্রী। জিৎ কোয়েলকে নিয়ে পীযূষ সাহা বানিয়েছিলেন ‘নীল আকাশের চাঁদনী’। তাঁর ছবি ‘কেল্লাফতে’র হাত ধরে টলিউডে পা রেখেছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। ২০২২ সালে তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘জালবন্দী’। অন্যদিকে পীযূষের কাছে অভিনয় শিখতে এসেছিলেন অক্ষয় গুপ্ত। তিনিই তাঁর ছাত্রকে বলেন যে তাঁকে নিয়ে ছবি বানাবেন। ছবির বাজেট ধার্য হয় ১ কোটি টাকা। তারমধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা অক্ষয়কে দিতে বলেন পরিচালক।
আরও পড়ুন –Diljit Dosanjh: ‘মাথায় পাগড়ি নেই কেন?’ ‘চমকিলা’-র ট্রেলারে দিলজিৎকে দেখে তুমুল শোরগোল নেটপাড়ায়…
অক্ষয়ের দাবি, ‘মধ্যবিত্তের পক্ষে এই টাকা দেওয়া অসম্ভব। অবশেষে ধার্য হয় ২০ লক্ষ টাকা আমি দেব আর ৮০ লক্ষ টাকা উনি দেবেন। একের পর এক স্ক্রিপ্ট আমাকে দেন। কিন্তু শ্যুটিং শুরু হয় না। এমনকী জালবন্দির স্ক্রিপ্ট আমাকে দিলেও ঐ ছবিতে নিজের ছেলেকে লঞ্চ করান তিনি। এরপর আমি একটি ওয়েবসিরিজের কাজ শুরু করতেই বেঁকে বসেন উনি। এর মাঝে আমার মায়ের ক্যানসার ধরা পড়ায় আমি পুরো টাকা ফেরত চাই। উনি মাসের পর মাস আমাকে ঘোরান। অবশেষে আমি পুলিসের কাছে যাই। তাঁকে নানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন তিনি টাকা ফেরত দেবেন না, তিনি কাজ করবেন। তবে আমি আর ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই না’।