নব জোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ধাক্কা খেয়ে আহত হলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বুধবার উত্তর কাঁথির মুকুন্দপুরে অভিষেকের র্যালির পর এই ঘটনা ঘটেছে। মুকুন্দপুরের চণ্ডীভেটিতে রোড শো শেষের পর অখিল যখন হেঁটে তাঁর গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, তখন নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে সামান্য আহত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
অভিষেকের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের এই আচরণে খানিক হকচকিয়ে যান মন্ত্রী। অখিলের অনুগামীরাও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় অখিল বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। আমি হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি।’ এই ঘটনার পর জেলার রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে অভিষেকের নিরাপত্তার বহর নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতাদের একাংশও আড়ালে অভিযোগ করেন, নিরাপত্তারক্ষীদের বাড়াবাড়ির জন্য তৃণমূল নেতার কাছে পৌঁছতে তাঁদের সমস্যা হয়। এদিনের ঘটনার পর ফের একবার প্রশ্ন উঠছে, ‘রাজ্যের মন্ত্রীর যদি এই অবস্থা হয়, তবে সাধারণ তৃণমূলকর্মীদের অবস্থা কী বোঝা যাচ্ছে।’
পূর্ব মেদিনীপুরের অভিষেকের নিরাপত্তার বহর নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তিনি লেখেন, ‘দেশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাই তো? ভুল। দেখুন ভাইপোর নিরাপত্তার জন্য একদিনে ২ হাজার ২৪৫ জন নিরাপত্তারক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্নে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছেও এই নিরাপত্তা তুচ্ছ। বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপকভাবে অবনতি হয়েছে। এই মাসেই বিস্ফোরণে শিশু, মহিলা সহ অনেকে মারা গিয়েছেন। অগুনতি রাজনৈতিক খুন হচ্ছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গের সব থানা খালি। একজনের নিরাপত্তায় সব পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।’
অন্যদিকে চণ্ডীপুরের ফুটবল মাঠে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই মাঠেই আট বছর আগে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতিকে। অভিষেক কী বার্তা দেন, সেটাই এখন দেখার।