বীরভূম জেলায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দলের ব্লক সভাপতি সহ তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট দলের পঞ্চায়েত সদস্যের যা নিয়েই তোলপাড় জেলার রাজনৈতিক মহলে। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করে গিয়েছিলেন চলতি মাসেই।
কিন্তু তাতেও থামেনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার ব্লক সভাপতি সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন খয়রাশোল ব্লকের পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পান। খয়রাশোল কেন্দ্র গরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তিনি। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর নাম করে সরাসরি হুমকি সহ আক্রমণ করেন তিনি।
এছাড়াও দলের একাধিক নেতার পদবী ধরে আক্রমণাত্মক সুরে শাসানোর অভিযোগও উঠেছে। কয়েকজন নেতার পদবী ব্যবহার করে নিজের ফেসবুকে তিনি লেখেন, “গায়েন, মুখোপাধ্যায়, সাহা, অধিকারী, বেইমানি ধীবর আপনারা একটু সাবধানে থাকুন, সময় ভালো নেই।”
এরপরেই রাজীব পানকে গ্রেফতার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখাই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এই প্রসঙ্গে কাঞ্চন অধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “দলের নির্দেশে আমি রাজীবের বিরুদ্ধে থানায় এফ আই আর করেছি।” বিষয়টা উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হবে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্লক কমিটির সভাপতি ভোলা মিত্রকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ বলে অনেকে বলতে থাকেন। জেলার দুবরাজপুর ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার জায়গায় তৈরি করা হয়েছে নির্বাচনী কমিটি।
এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচিতে গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় বীরভূম জেলায়। পুরন্দরপুরে তৃণমূলের অধিবেশনের ভোটেও দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। তৃণমূল নেতা কাজল শেখ ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা কর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। দলীয় বিশৃঙ্খলায় গ্রাম বাংলার মতামত কর্মসূচি নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় দলকে। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় জেলার রাজনৈতিক মহলে।