Calcutta High Court : অস্ত্র মামলায় হেনস্থা, শাস্তির মুখে পুলিশ – a citizen was harassed due to indifference and negligence of the investigating officer of the reserve force


এই সময়: রিজার্ভ ফোর্সের তদন্তকারী অফিসারের উদাসীনতা ও অবহেলায় হেনস্থার শিকার হয়েছেন এক নাগরিক। এই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ওই তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের পর্যবেক্ষণ, কোনও দোষ না করেও শুধুমাত্র পলিশের গাফিলতিতে তদন্তের ত্রুটিতে এক নাগরিককে গত ন’বছর ধরে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তাই পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে।

Jalpaiguri News : ‘পুলিশে আস্থা নেই…CBI তদন্ত চাই’, জলপাইগুড়ি জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় ADG কে সাফ জানালেন দম্পতির দিদি
দীর্ঘ দিন ধরে লাইসেন্সড রিভলভার রয়েছে অনিল ভার্মার। প্রথমে তিনি কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটে থাকতেন। ২০০৮ সালে তিনি হেস্ট্রিংস কোর্টে স্থায়ী ঠিকানায় থাকতে শুরু করেন। সেই ঠিকানা পরিবর্তনের কথা তিনি লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশকে। অনিলের ঠিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেছিলেন রিজার্ভ ফোর্সের ডিসি।

Uttar Dinajpur : ইসলামপুরে দাড়িভিট কাণ্ডে তদন্তে NIA, ঘুরে দেখলেন গোটা এলাকা
এর মধ্যে ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশন সব লাইসেন্সড আর্মস জমার নির্দেশ দেয়। ওই ব্যক্তিও তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন কলকাতা পুলিশের কাছে। কিন্তু লাইসেন্সড বন্দুক জমা দিয়েও অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত হন অনিল। অন্য ২৯ জনের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ তাঁর নামেও এফআইআর করে তিনি অস্ত্র জমা দেননি অভিযোগে। নিম্ন আদালত তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে। তিনি নিম্ন আদালতে মামলা করেন। কিন্তু নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন।

IIT Kharagpur Student Death : অবশেষে কবর থেকে তোলা হলো সেই ফয়জানের দেহ
তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি অভিযোগ করেন, নিম্ন আদালত আইনের বাইরে গিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। অনিলের তরফে জমা দেওয়া যাবতীয় নথি দেখে হাইকোর্ট মনে করেছে, যে তদন্তকারী অফিসারের ঠিকানা দেখে খোঁজ নিয়ে অস্ত্র জমা পড়েছে কিনা–সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার দায়িত্ব ছিল, তিনি তদন্ত না করেই ঘরে বসে রিপোর্ট দিয়েছেন। অনিল ভার্মা তাঁর ঠিকানা পরিবর্তনের কথা আগেই জানানো সত্ত্বেও সেই নতুন ঠিকানা খতিয়ে দেখা হয়নি। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ, ওই তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *