দীর্ঘ দিন ধরে লাইসেন্সড রিভলভার রয়েছে অনিল ভার্মার। প্রথমে তিনি কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটে থাকতেন। ২০০৮ সালে তিনি হেস্ট্রিংস কোর্টে স্থায়ী ঠিকানায় থাকতে শুরু করেন। সেই ঠিকানা পরিবর্তনের কথা তিনি লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশকে। অনিলের ঠিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেছিলেন রিজার্ভ ফোর্সের ডিসি।
এর মধ্যে ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশন সব লাইসেন্সড আর্মস জমার নির্দেশ দেয়। ওই ব্যক্তিও তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন কলকাতা পুলিশের কাছে। কিন্তু লাইসেন্সড বন্দুক জমা দিয়েও অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত হন অনিল। অন্য ২৯ জনের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ তাঁর নামেও এফআইআর করে তিনি অস্ত্র জমা দেননি অভিযোগে। নিম্ন আদালত তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে। তিনি নিম্ন আদালতে মামলা করেন। কিন্তু নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন।
তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি অভিযোগ করেন, নিম্ন আদালত আইনের বাইরে গিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। অনিলের তরফে জমা দেওয়া যাবতীয় নথি দেখে হাইকোর্ট মনে করেছে, যে তদন্তকারী অফিসারের ঠিকানা দেখে খোঁজ নিয়ে অস্ত্র জমা পড়েছে কিনা–সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার দায়িত্ব ছিল, তিনি তদন্ত না করেই ঘরে বসে রিপোর্ট দিয়েছেন। অনিল ভার্মা তাঁর ঠিকানা পরিবর্তনের কথা আগেই জানানো সত্ত্বেও সেই নতুন ঠিকানা খতিয়ে দেখা হয়নি। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ, ওই তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।