তাদেরকে জেরা করে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ডাকাতির উদ্দেশে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল। ধৃতদের নাম শেখ রফিকুল (বাড়ি মহেশতলা থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর এলাকায়), নুরজামাল মোল্লা (বাড়ি বকুলতলা থানার মহিষ গোট এলাকায়), রফিকুল লস্কর (বাড়ি মগরাহাট থানার মামুদপুর এলাকায়), তাজউদ্দিন গাজী ও মিজানুর সর্দার (এদের বাড়ি ক্যানিং থানার টেংরাখালী ও সুন্ধিপুকুরিয়া এলাকায়) এবং ইসরাফিল খান (বাড়ি বারুইপুর থানার পূর্ব পাঁচগাছিয়া এলাকায়)।
ইসরাফিল অটোচালক বলে জানা গিয়েছে। তবে ধৃতরা কোথায় ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছে জয়নগর থানার পুলিশ। আজ ধৃতদেরকে বারুইপুর আদালতে পাঠানো হয়। তদন্তের স্বার্থে আদালতের কাছে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক এই বিষয়ে জানান, “গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এটা জানা ছিল না যে এই ৬ জন ডাকাতি করার উদ্দেশে জড়ো হয়েছে। বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তা জানা যায়”। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদের ডাকাত দলে আরও বেশি সদস্য থাকতে পারে। সেই সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সেই জন্যই আরও কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে জেলারই বারুইপুর এলাকায় এরকমই এক বড় ডাকাতির ছক বানচাল করা হয়। হাতেনাতে গ্রেফতার হয় সাত দুষ্কৃতী। উদ্ধার করা হয় ডাকাতির সরঞ্জাম, চপার, ভোজালি, ছুরি। বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে বেশ কিছু দুষ্কৃতী বলরামপুর এলাকায় জড়ো হয়েছে। পালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সাত দুষ্কৃতী।