IIT Kharagpur Student Death : মাথায় আঘাতের সঙ্গে গলাতেও ফাঁস? ইঙ্গিত আইআইটিতে মৃত সেই ছাত্রের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে – a second post mortem on the body of iit kharagpur student faizan ahmed also indicated a fractured thyroid bone


অমিত চক্রবর্তী
মাথার পিছনে ভারী কিছুর আঘাতের চিহ্ন টের পাওয়া গিয়েছিল আগেই। আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র ফয়জান আহমেদের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে থাইরয়েড বোন ভাঙারও ইঙ্গিত মিলল। আর এর ফলে গলায় ফাঁসে শ্বাসবন্ধে মৃত্যু কিনা, সে প্রশ্নও উঠে এল। আগামী ৬ জুন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়বে। এক দিকে প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক যেমন তাঁর রিপোর্ট জমা দেবেন, তেমনই হাইকোর্ট নিযুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তও তাঁর রিপোর্ট পেশ করবেন আদালতে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে তাঁর রিপোর্ট এবং মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে হাইকোর্ট।

IIT Kharagpur Student Death : অবশেষে কবর থেকে তোলা হলো সেই ফয়জানের দেহ
এর আগে বিচারপতি মান্থার নির্দেশে খড়্গপুর আইআইটিতে গিয়ে মৃতদেহ হস্টেলের যে ঘরে মিলেছিল, তা পরিদর্শন করেছিলেন ডাক্তার গুপ্ত। দেহের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্ত রিপোর্টও খতিয়ে দেখেন তিনি। তার পরেই প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লিখিত আত্মহত্যার দাবিতে আমল না-দিয়ে খুনেরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে অসমের কবর থেকে মৃতদেহ তুলে এনে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গত শনিবার প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্ত। সেখানে ওই দেহের প্রথম ময়নাতদন্ত করেছিলেন যিনি , সেই চিকিৎসকও হাজির ছিলেন। ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করা হয় গোটা ময়নাতদন্তের।

Suvendu Adhikari : মালদায় শুভেন্দুর সভা অনুমতি পেল না আদালতে
আগেই চিকিৎসক গুপ্ত ছবি দেখে ফয়জানের মাথার পিছনে দু’টি জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মাথার পিছনে দু’টি জায়গায় রক্ত জমাট পাওয়া গেলেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে খুলির একটি অংশ ঠিকঠাক অবস্থায় মেলেনি। গত ১৬ অক্টোবর থেকে দেহ মাটির নীচে কবরে থাকায় ওই অংশ মাটিতে মিশে গিয়েছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।

Jalpaiguri News : ‘পুলিশে আস্থা নেই…CBI তদন্ত চাই’, জলপাইগুড়ি জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় ADG কে সাফ জানালেন দম্পতির দিদি
যদিও ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কে আঘাত যদি থাকে তা হলে আলাদা কথা, অন্যথায় এত কম সময়ে খুলির মাটিতে মিশে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। কিন্তু থাইরয়েড বোন ভাঙা পাওয়া নিয়ে চিকিৎসকরা মনে করছেন, অনেক সময়ে অন্য কোনও ভাবে কাউকে মেরে ফেলার চেষ্টা হলেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস দিয়ে দমবন্ধ করে মৃত্যু ঘটানো হতে পারে।

এই অবস্থায় আইআইটি খড়্গপুরের কৃতী ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে হাইকোর্ট আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করে, তা নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। কারণ, এর আগে আইআইটি কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে রিপোর্ট দিলেও চিকিৎসক গুপ্তের রিপোর্টের পর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও খুনের ইঙ্গিত ক্রমে জোরালো হচ্ছে। এতদিন এটিকে র‍্যাগিংয়ে বাধা দেওয়ার ফল বলে অভিযোগ করা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে র‍্যাগিং নাকি নেপথ্যে আরও বড় কোনও রহস্য আছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে আইআইটি চত্বরে, পুলিশ মহলেও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *