Kalighater Kaku Sujay Krishna Bhadra gave 40 lacs to arrested TMC leader Shantanu Banerjee for buying a commercial plot


পিয়ালি মিত্র: সলিটায়ার প্লেসমেন্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১০ সালে এই কোম্পানি খোলা হয়। কোম্পানির ডিরেক্টর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সহ তিনজন। যার রেজিস্ট্রার্ড ঠিকানা বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোড। তদন্তে উঠে এসেছে, মোটা টাকার লেনদেন দেখানো হয় এই কোম্পানির মাধ্যমে। তারপর ২০১৭ সালে হঠাৎ করে আরওসিকে চিঠি লিখে কোম্পানি বন্ধের আর্জি জানান কালীঘাটের কাকু। কিন্তু হঠাৎ কেন কোম্পানি বন্ধ করতে চান? তদন্তকারীদের জেরায় কোনও উত্তর দিতে পারেননি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কালো টাকা সাদা করতেই ওই কোম্পানি খোলা হয় বলে অনুমান তদন্তকারীদের। 

ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির একটা বড় অঙ্কের নগদ প্রোমোটিং বা রিয়েল এস্টেট সংস্থায় খাটিয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। ২ বন্ধুর মারফত কোটি কোটি টাকা কালীঘাটের কাকু লগ্নি করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই তথ্যপ্রমাণ সামনে রেখেই গতকাল জেরা করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। ২০২০ সালে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি প্রজেক্টে চন্দননগরে ১২০০ স্কোয়ার ফিট কমার্শিয়াল স্পেস কেনার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই টাকার উৎস কী? এই প্রশ্নেরও কোনও বিশ্বাসযোগ্য উত্তর দিতে পারেননি কালীঘাটের কাকু। এমনকি প্রজেক্ট না হলে, টাকা-ই বা কেন ফেরত নিলেন না? জেরায় তারও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তদন্তে অসহযোগিতা, বয়ানে অসঙ্গতি, তথ্য গোপনের চেষ্টা, তদন্তকারী আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালীঘাটের কাকুকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একাধিকবার তাঁকে সঠিক উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি উত্তর দেননি। কুন্তল ঘোষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে, সেই টাকা কোথায় পাঠাতেন? কার নির্দেশে চাকরি দুর্নীতির এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা নিতেন তিনি? সেই প্রশ্নের উত্তর দেননি ‘কালিঘাটের কাকু’। ইডি-র দাবি সেই সব প্রশ্নের উত্তরই জানা কালীঘাটের কাকুর। কিন্তু তথ্য গোপন করার জন্য উত্তর না দিয়ে মেজাজ হারান তিনি। পালটা চোটপাট করেন ইডি আধিকারিকদের উপর।

গত ২০ মে তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে তিনটি কোম্পানির নথি পেয়েছে ইডি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যে কোম্পানিগুলির অ্যাকাউন্টে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডি। এছাড়াও দেড় হাজার পাতার নথি, ও ডিজিটাল এভিডেন্স উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ইডি-র। সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কোনও সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কালীঘাটের কাকু। জিজ্ঞাসাবাদে যখন লাগাতার অসহযোগিতা করছেন কালীঘাটের কাকু, ঠিক তখন তার কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন এবং এর আগেই গ্রেফতার হওয়া আর এক তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোন অন করা হয়। সেখান দেখা যায়, সেই তৃণমূল নেতার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হয়েছে কালীঘাটের কাকুর। সেখানে সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসে। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনও উত্তর দেননি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। 

আরও পড়ুন, Partha Chatterjee | ED: জেরায় ‘কালীঘাটের কাকু’-র মুখে পার্থর নাম, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ইডি-র

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *