Kolkata Municipal Corporation : গাছের জলাভাব কাটাতে এবার ‘হলো পেভার ব্লক’ – kolkata municipal corporation decides to to place paver blocks to save trees


তাপস প্রামাণিক
শহর সাজাতে কংক্রিটের চাদরে ঢাকা পড়ছে ফুটপাথ। তার ফলে গাছের গোড়াতেও ঠিকমতো বৃষ্টির জল পৌঁছচ্ছে না। জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছপালা। কলকাতার বুকে ক্রমে কমছে সবুজ। এই সমস্যা মেটাতে এ বার ফুটপাথে ‘হলো পেভার ব্লক’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। পুরকর্তাদের দাবি, এই পেভার ব্লক বসালে গাছের গোড়ায় বৃষ্টির জল পৌঁছতে সমস্যা হবে না। শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর ঠিক রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা নেবে।

Ganga River : কলকাতায় গঙ্গার পাড় ভাঙা আটকাতে এবার ম্যানগ্রোভ
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতা শহরে বেড়ে চলা বায়ুদূষণের প্রকোপ থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে জুলাই মাসে মোট ২৫ লক্ষ চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। খরচ হবে আনুমানিক ৩ কোটি টাকা। শুধু গাছ লাগানোই নয়, পরিচর্যাতেও এ বার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পুরসভা। কয়েক বছরের ব্যবধানে আয়লা এবং উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কলকাতা শহরে কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছিল।

Durgapur News : আলোর দাপটে ঠিকানা হারাচ্ছে পাখিরা, দুর্গাপুরের গাছ থেকে এলইডি খোলার ভাবনা
তার জেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এ বার বৃক্ষরোপণে খুব সাবধানী পুরসভা। শহরে বৃক্ষরোপণের জন্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে কয়েক দিন আগে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে বিভিন্ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা হাজির ছিলেন। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে সব গাছ সহজে ঝড়ে উপড়ে পড়বে না, শুধুমাত্র সেই সব গাছই লাগানো হবে।

Kolkata Municipal Corporation : একই প্রকল্পের জন্য কলকাতা পুরসভায় একাধিক টেন্ডার নয়
এই তালিকায় রয়েছে মেহগিনি, শিশু, জারুল, সোনাঝুরি, বাক্সবাদাম, আম, নিম, অশোক, অর্জুন, দেবদারু। যে চারা লাগানো হবে, তার দৈর্ঘ্য হবে কম করে ৪ ফুট। চারা বসানো, তার চারধারে বেড়া দেওয়া এবং এক মাস ধরে গাছের গোড়ায় জল দেওয়ার জন্যে গড়ে ২৩২ টাকা করে বরাদ্দ করেছে পুরসভা। দেবদারু গাছের ক্ষেত্রে ধরা হয়েছে ২৭২ টাকা।

Kolkata Municipal Corporation : ১০০ দিনের কাজে মজুরি মেটাতে দেরি কলকাতা পুরসভার
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, টালিনালার দু’ধারে, গঙ্গার পাড়, পুকুর, জলাশয় এবং খালপাড়ে বেশি করে গাছ লাগানো হবে। গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যায় স্থানীয় ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি হকারদেরও সাহায্য নেওয়া হবে। গাছ লাগানোর সময়ে যে ‘ট্রি-গার্ড’ বসানো হয়, সেটা পরবর্তীকালে আর খোলা হয় না। ফলে সেটা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। নির্দিষ্ট সময়ের পর ট্রি-গার্ড খুলে ফেলার জন্যেও এ বার অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *