পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা শিকারকে কোনও অ্যাপ ডাউনোলড বা মোবাইলে পাঠানো লিঙ্ক ক্লিক করতে বলা হয় না। পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে বাড়তি উপার্জনের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়। ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতারণার ফাঁদে পড়েন শহরের এক যুবতী। প্রথমে তাঁকে হোয়াটস্যাপে কোনও রেস্তঁরা বা ক্যাফেতে না ঘুরেই তাদের রিভিউ লেখার চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, প্রতারক নিজেকে কর্নাটকের একটি সংস্থার মানবসম্পদ আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি রিভিউয়ের জন্য প্রতারণার মুখে পড়া ওই যুবতীকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। টাকার জন্য সংশ্লিষ্ট হোটেলের রিসেপশনিস্টকে ফোন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ফোন করেও কোনও টাকা পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারিনী যুবতী একটি টেলিগ্রাম আইডি দিয়েছিল। তারও কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ওই তরুণীকে টাকা দেওয়া হলেও ওই রিসেপশনিস্ট তাঁকে উইলিয়ম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং তাঁর টেলিগ্রাম আইডিও তাঁকে দেওয়া হয়। ওই যুবতীকে আরও দু’জনের সঙ্গে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। ওই দু’জনও যুবতীর মতো একই কাজ করতেন।
ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাওয়ার লোভে কয়েকটি কিস্তিতে ওই যুবতী প্রতারকদের সাত লাখ টাকা দিয়েছিলেন। টাকা দাবি করতেই বলা হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টের ক্রেডিট লিমিট ৫ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে, তাই টাকা ফিরে পেতে হলে আরও ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তখনই ওই যুবতী বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা যখনও বুঝতে পারে যে তাঁদের ফাঁদ কেউ ধরে ফেলেছে, তখন ওই টেলিগ্রাম গ্রুপ ও তাতে শেয়ার করা যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলা হয়। এই বিষয়টি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।