কিন্তু হঠাৎ করে নিয়োগের তথ্য ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও এক্সিকিউটিভ অফিসারদের নাম চেয়ে পাঠানো নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের জন্যই কি তথ্য নেওয়া দফতরের? এমনই জল্পনা তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে ED। সেই তদন্তের আওতায় এবার রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়।
আর তারপরেই বীরভূম জেলার সব পুরসভার কাছে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে UD & MA। নির্দিষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে এই পুরসভাগুলিতে কোন পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়েছে। কোন কোন আধিকারিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তি এই নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
টেন্ডারের মাধ্যমে কোন সংস্থাকে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কারা চাকরি পেয়েছেন সেই তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই সমস্ত তথ্য পাওয়া গেলে, তারপর তা অয়ন শীলের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া নথিপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে ও একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। দাবি করা হয়, শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরসভাতেও বেআইনি নিয়োগ চক্র রয়েছে শান্তনুদের। অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে ৭০টি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়।
অয়নের কাছ থেকে বহু বিশেষ সুবিধা ভোগ করতেন প্রভাবশালীরা। আর তার বিনিময়ে তিনি বিভিন্ন পুরসভা ও পুর নিগমের কাজের বরাত পেতেন। আর সেই কারণেই এবার খোদ পুরসভাগুলি থেকে তথ্য চেয়ে পাঠানো হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।