এই সময়: রক্তের জটিল ক্যান্সার লিউকোমিয়ার শিকার ছিল বছর সাতেকের বালক। সেরে ওঠার জন্যে দরকার ছিল অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। দাতা হিসেবে প্রস্তুতও ছিল কিশোরী দিদি। কিন্তু মুশকিল হলো, দু’জনের রক্তের গ্রুপ-সহ অন্যান্য মাপকাঠি মেলেনি। ১০টির মধ্যে মাত্র ৫টি মাপকাঠি মিলছিল। এই অবস্থায় হ্যাপলো-আইডেন্টিক্যাল (হাফ-ম্যাচড) অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনই ছিল একমাত্র উপায়।
কিন্তু দেশের কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ছাড়া তা হয় না। আর তার খরচও ৩০-৫০ লাখ টাকা, যা স্বপ্নেরও বাইরে ছিল বালকের পরিবারের কাছে। অগত্যা দেশের প্রথম সরকারি হাসপাতাল হিসেবে সেই চ্যালেঞ্জটা নেয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সফল প্রতিস্থাপনের পরে এখন সুস্থ আছে গ্রহীতা ভাই। ভালো আছে দাতা দিদিও।
কিন্তু দেশের কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ছাড়া তা হয় না। আর তার খরচও ৩০-৫০ লাখ টাকা, যা স্বপ্নেরও বাইরে ছিল বালকের পরিবারের কাছে। অগত্যা দেশের প্রথম সরকারি হাসপাতাল হিসেবে সেই চ্যালেঞ্জটা নেয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সফল প্রতিস্থাপনের পরে এখন সুস্থ আছে গ্রহীতা ভাই। ভালো আছে দাতা দিদিও।
এনআরএস হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের এই সাফল্যের কথা স্বাস্থ্য দপ্তর তুলে ধরেছে তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে। তাতে বলা হয়েছে, হাওড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ আগরওয়ালের রক্তে আড়াই বছর বয়সেই ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। বারংবার কেমোথেরাপিতেও সে সুস্থ হচ্ছিল না। দিদি প্রেরণার সুস্থ অস্থিমজ্জার দৌলতে এনআরএসে ‘হাফ-ম্যাচ’ অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ ।
যে জটিল প্রতিস্থাপনের জন্যে অন্তত ৩০ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা ছিল, সরকারি হাসপাতালে তা হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর নেপথ্যে যে রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, সেই সন্দীপ সাহা বলেন, ‘রক্তের গ্রুপ এবং এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) জিন না মেলাটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা তৃপ্ত যে, সেই বাধা অতিক্রম করা গিয়েছে।’