এদিকে এই ঘটনা উসকে দিচ্ছে বহরমপুরে সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের সেই ভয়াবহ স্মৃতি। একইরকমভাবে ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল সুতপাকে। হাড়হিম করা সেই ঘটনায় উঠে এসেছিল তাঁর প্রাক্তন বন্ধু সুশান্তর নাম।
গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুশান্ত চৌধুরী দাবি করেছিল, সেই খুন করেছে সুতপাকে। তার বক্তব্য ছিল, “ওর মা-বাবা আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছিল। আমিই খুন করেছি। আদালত যা শাস্তি দেবে তা মেনে নেব।”
এই ঘটনায় রীতিমতো শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। আপাতত সুশান্ত রয়েছে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। সুশান্তর পরিবার দাবি করেছিল, পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিল সে। এমনকী, IPS অফিসার হওয়ার স্বপ্নও দেখত। বাবাও পুলিশকর্মী। কিন্তু, এই ঘটনার সঙ্গে ছেলে জড়িত থাকতে পারে তা মেনে নিতে পারেননি তাঁরা।
জেলে যাওয়ার পর প্রথম প্রথম অনেককে সুতপার বিষয়ে কথা বলত সে, সূত্রের খবর ছিল এমনটাই।
এখন কেমন আছে সেই সুশান্ত?
জানা গিয়েছে, কাস্টডি ট্রায়াল শুরু হতেই ফের নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে সুশান্ত। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এখন সেভাবে কারও সঙ্গে কথা বলে না সে। নিজের চিন্তাতেই ডুবে থাকে সে।
এদিকে দিল্লির ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে আসতেই সুতপাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের চোখের সামনে ফুটে উঠেছে গোরাবাজার মেসের সামনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মেসের ঠিক বিপরীত দিকে অফিস বান্টি ইসলামের।
বান্টি ইসলাম বলেন, “আজও সেইদিনের ঘটনা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তারপর থেকে বারবার মনে হয়েছে সেদিন যদি একটু সাহস দেখাতে পারতাম।” উল্লেখ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল, খুনের সময় অভিযুক্তর হাতে একটি পিস্তল ছিল। তাই ভয়ে তাঁরা এগিয়ে যেতে পারেননি।
যদিও পুলিশ পরে জানতে পারে, তা আদতে খেলনা পিস্তল ছিল। সুতপাকাণ্ডের অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী জয় স্যান্যাল বলেন, “সেদিনের ঘটনা মনে পড়লে আজও শিউরে উঠি। কী পরিস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা বিচার্য নয়। দিল্লির ঘটনার পর মনে হচ্ছে যদি সুশান্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হত সেক্ষেত্রে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত না।”