বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ঘরের সব জিনিস সাফ করে দিয়েছিল চোর। কিন্তু পাড়ার লোকের হাতে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। স্থানীয় মহিলা জ্যোৎস্না বর্মনের বাড়িতেই এই চুরি হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে সেই চোরকে ধরে ফেলেন। ধরার পর তাকে বেঁধে রেখে খবর দেন জ্যোৎস্না বর্মনকে।
তিনি এসেই চোরের কাছে সব শুনে চোরের হাত খুলে দিতে বলেন। তারপর নিজের হাতের রান্না খাওয়ান ওই চোরকে। যদিও খাবার খাইয়ে ছেড়ে দেননি ওই চোর অমর সাহানিকে। তাঁকে তুলে দেন পুলিশের হাতে। জ্যোৎস্না বর্মন জানান, “ওই যুবক চুরি করা ১০০০ টাকা ফেরত দিলেও চুরি করা সোনার চেনটি ফেরাতে পারেনি।
তাই একটি ছোট ঘরে ওকে আটকে রেখেছিলাম। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তাকে নিয়ে যায়”। শেষ পর্যন্ত মালবাজার থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটা সোমবার দুপুরের। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় পাল জানান, “বাড়ি ফেরার সময় দেখি এক অচেনা যুবক বস্তা পিঠে নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছে।
বস্তা খুব ভারী থাকার জন্য ঠিকঠাক হাঁটতে পারছে না। সন্দেহ হওয়া যুবকের বস্তা পরীক্ষা করি। দেখি, বস্তার মধ্যে চুরি করা লোহার তার, বাসনপত্র, ইমিটেশনের অলঙ্কার এবং আমাদের পাড়ার মহিলা জ্যোৎস্না বর্মনের কিছু স্ট্যাম্প সাইজের ফটো রয়েছে”। সঙ্গে সঙ্গে ওই চোরকে স্থানীয়রা ধরে বেঁধে ফেলেন।
জ্যোৎস্না রান্নার কাজ করেন। তাই তিনি বাড়ি ছিলেন না। তাঁকে ফোন করে পাড়ার লোকেরা চুরির বিষয় জানান। ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারি ভাঙা, ঘরের সমস্ত জিনিস তছনছ। সোনার হার এবং নগদ টাকা উধাও। অভিযুক্তক কাছ থেকে নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ওই যুবককে মারধর করতে নিষেধ করে দেন জ্যোৎস্না।