যে ১০ টি বুথে ভোট নেওয়া সম্ভব হয়নি সেগুলি হল, জালপাই-১, চৌখালী-২, বৃন্দাবনপুর-১, বৃন্দাবনপুর-২, ঈশ্বরপুর, ওসমানপুর, ব্রজলাল চক, কুলবাড়ি, দিবাকরপুর, নন্দপুর, বরাঘুনি। চণ্ডীপুরে অধিবেশন বসলেও চণ্ডীপুরের নেতৃত্বরা ভোট দিতে পারেননি। ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের সামনেই ছড়ায় উত্তেজনা। জানা যায়, চণ্ডীপুর ব্লকের অঞ্চল সভাপতিদের রাতারাতি পরিবর্তন ঘটানো হয়। যার ফলে চণ্ডীপুরে ভোট করা যায়নি। দলের নেতৃত্বরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় ক্ষুব্ধ হন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের নিয়ম না মেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। যে জায়গাগুলির ভোট করা যায়নি সেগুলি আগামী দিনে করা হবে বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “চণ্ডীপুর ব্লক নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। তাই সেখানকার পঞ্চায়েতগুলিতে অঞ্চল সভাপতিদের পরিবর্তন ঘটানো হয়।
আর সেই কারণেই এদিন ওই পঞ্চায়েতগুলির জন্য ভোট নেওয়া যায়নি। এটা নিয়ে কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি। আগে থেকে এই বিষয়ে কেউ জানতেন না তাই সাময়িকভাবে অনেকেই অবাক হন আর এই নিয়েই কিছু কথা ওঠে। এর থেকে বেশি কিছুই হয়নি।
আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই বিষয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। এরপরে আবার ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া করা হবে। তাতে সবাই যে যার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন”। তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে বুধবার অধিবেশন শিবির হয়েছে চণ্ডীপুরের বিনয় স্মৃতি ফুটবল ময়দানে।
সেখানেই পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছতে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ভোটাভুটি হয়। অভিষেকের রাত্রিবাসের আয়োজনও ছিল সেখানেই। সার দিয়ে খাটানো হয় তাঁবু। আজ অভিষেক র্যালি করছেন নন্দীগ্রামে।