পুলিশ গিয়ে দেখে হোটেলের একটি ঘর ভাড়া করে সেখানে চলছিল জুয়ার আসর। উদ্ধার হয় নগদ টাকা জুয়া খেলার তাস ও মোবাইল ফোন। ধৃত প্রত্যেকেই দুর্গাপুর ও দুর্গাপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, উখড়া, লাউদোহা ও বেনাচিতি এলাকার বাসিন্দাও রয়েছে এই ধৃতদের মধ্যে।
ধৃতদের বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এই বিষয়ে হোটেলের এক কর্মচারী জানান, “এই বিষয়ে আমাদের কিছু জানা ছিল না। প্রত্যেকদিন যেমন কেউ না কেউ এসে ঘর ভাড়া নেন, সেইরকমই এদিন ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ তাঁদের সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে হঠাৎ হানা দেয়।
আমরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করি। তখন পুলিশ ঘর থেকে এতজনকে ধরে নিয়ে যায়”। বুধবারের ঘটনার পরে হোটেল কর্তৃপক্ষকে আরও সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। হোটেলে কেউ ঘর ভাড়া নিয়ে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই বাঁকুড়া জেলায় জুয়াড়ি সেজে জুয়ার ঠেকে হানা দেয় পুলিশ। আর হাতেনাতে গ্রেফতার হয় ৮ জন। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। সেই এলাকার পরিত্যক্ত একটি স্থানে তাঁবু করে চলছিল জুয়া খেলার আসর। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছিল জুয়াড়িরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একদিন রাতে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ হানা দেয় সেখানে। তবে জুয়াড়িদের হাতেনাতে ধরতে অন্য পন্থা নেয় পুলিশ। নিজেদের পোশাক না পরে সাধারণ পোশাক পরে জুয়ারি সেজে সেখানে যায় পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলার পরই হাতেনাতে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও সেই আসর থেকে উদ্ধার করা হয় প্রচুর নগদ টাকা।