Hooghly News : গাছ কাটার প্রতিবাদ! বন দফতরের অফিসে পাখা বন্ধ করে ‘চোর চোর’ স্লোগান BJP-র – bjp started protest at chinsurah forest department office for tree cutting


West Bengal News : নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে গাছ, বন দফতর উদাসীন, এই অভিযোগ নিয়ে চুঁচুড়া বন দফতরের অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন BJP-র কর্মীরা। সরকারি অফিসের ভিতরে ঢুকে পাখা বন্ধ করে ‘চোর চোর’ স্লোগানও তোলেন BJP-র কর্মীরা। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, চুঁচুড়া বিধানসভার পোলবা রাজহাট সুগন্ধা অঞ্চলে আমের বাগান ধ্বংস করে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। BJP কর্মীরা গতকাল সুগন্ধার পাঁচরকি এলাকায় একটি আম বাগানে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেন। আমবাগান মালিক দাবি করেছিলেন তিনি বন দফতরের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছেন।

Mangrove Forest : নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে বাড়ি! ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের
সেই দাবির সত্যতা যাচাইয়ে আজ BJP কর্মীরা চুঁচুড়া ফুলপুকুরে বন দফতরের অফিসে যান। ১৭ টি ফলন্ত গাছ কিভাবে কাটার অনুমতি দেওয়া হল বন দফতর থেকে তাঁরা তা জানতে চান।

বন দফতরের বিট অফিসার সোমেশ্বর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জানান, “গাছ কাটার উপযুক্ত খালে অনুমতি দেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও তাই দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দিকে যে গাছ কাটা হচ্ছে তা দেখার জন্য পর্যাপ্ত লোকের অভাব রয়েছে দফতরে। একদিকে বনাঞ্চল দেখা, পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের জন্য কাজ করতে গিয়ে পেরে ওঠা যাচ্ছে না কর্মীর অভাবে।”

Bankura Chhatna BDO : অফিস চত্বর জুড়ে আম-আপেলের সম্ভার, কৃষকদের উন্নতিতে ছাতনার BDO-র অভিনব প্রয়াস
সরকারি দফতরে এভাবে পাখা বন্ধ করে, দরজা বন্ধ করে কেন বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে এই নিয়ে BJP কর্মীদের সঙ্গে পুলিশেরও বচসা তর্ক বেঁধে যায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয় দফতর থেকে।

এই বিষয়ে BJP যুব মোর্চার নেতা রাজিব ঘরামী বলেন, “পোলবা এলাকায় নির্বিচার চলছে গাছ কাটা। সাধারণ মানুষের কাছে অভিযোগ পেয়ে আমরা বন দফতরে আসি। সেখানকার আধিকারিকরা কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। শুধু তাই নয় যিনি অফিসার ছিলেন তিনিও অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান। তাই যতক্ষণ না দোষী অফিসাররা গ্রেফতার হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।”

Nadia News : নয়ানজুলি ভরাট করার অভিযোগ CPIM-BJP কর্মীর বিরুদ্ধে! রুখে দাঁড়ালেন স্থানীয়রা
তিনি আরও বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি এই এলাকায় শুধু গতকালই নয়, আগেও এরকম নির্বিচারে আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আর এসব হচ্ছে একেবারে বন দফতরের নাকের নিচে। শাসকদলের নেতারা এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত। তাই বন দফতরের আধিকারিকরা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। সবাই একসঙ্গে এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *