Jalpaiguri News : ফের হাতির হানায় মৃত্যু, প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ জলপাইগুড়িতে – once again a farmer lost life due to elephant attack in jalpaiguri


West Bengal News : ফের হাতির হানায় জলপাইগুড়ি জেলায় মৃত্যু হল এক কৃষকের৷ মৃত কৃষকের নাম সাগর দাস (২৫)। এবার ঘটনাস্থল নাথুয়ার চর। ওই কৃষকের মৃতদেহ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে পরপর দুই কৃষকের মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে বন দফতরের বিরুদ্ধে।

এই কারণে এলাকার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। পরিবার সূত্রে খবর, আজ সকাল ৬ টা নাগাদ স্থানীয় কৃষক জগন্নাথ দাসের বড় ছেলে সাগর দাস ও ছোট ছেলে সোহেল দাস বাড়ির পাশেই নাথুয়ার চরে বাদাম ক্ষেতে যান কৃষি কাজ করতে। সেই সময় হঠাৎ পিছন থেকে একটি বিরাট চেহারার দাঁতাল হাতি ধরে ফেলে সাগর দাসকে।

Birbhum Accident : মল্লারপুরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, প্রতিবাদে অবরোধ-পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি গ্রামবাসীদের
ঘটনাস্থলেই সাগর দাসের মৃত্যু হয়। এদিকে কোনোক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় সোহেল দাস৷ গত শুক্রবার মধ্যরাতে নাথুয়ার চরের পাশের চর ঠেঙ্গিপাড়ায় উত্তর ২৪ পরগণার এক মহিলা কৃষককে প্রাণে মারে এই দাঁতাল হাতিটি।

সেই ঘটনার শোক মিটতে না মিটতে ফের আরও এক কৃষকের প্রাণ কেড়ে নিল হাতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় প্রায় ১০০টি হাতির একটি হল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গত তিন মাস থেকে। মূলত তিস্তার চরে ভুট্টা, বাদাম, চাল কুমড়ো সহ বিভিন্ন ফসল খাওয়ার লোভেই বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে ওই হাতিগুলি।

Kolaghat Road Accident : দ্রুত গতিতে থাকা বাসের টায়ার ফেটে ভয়ানক দুর্ঘটনা! কোলাঘাটে দুমড়ে-মুচড়ে গেল ৫টি গাড়ি
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন দফতর হাতিগুলিকে ফেরত পাঠানোর কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। যার কারণে পর পর কৃষক সহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে৷ সেই কারণেই আজ সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন

বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাতিগুলিকে বারংবার এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলেও তারা ফের এলাকায় চলে আসছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে প্রতিদিন। যদিও এটুকুতে সন্তুষ্ট নয় এলাকাবাসী।

Alipurduar News : মাকে হারিয়ে দলছুট হস্তিশাবক! বন দফতরের প্রচেষ্টায় উদ্ধার
স্থানীয় এক কৃষক এই বিষয়ে অভিযোগ করে জানান, “আমাদের কোনও নিরপত্তা নেই। আর বন দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে কোনও হোলদোল দেখছি না পরপর কৃষকদের প্রাণ যাওয়া নিয়েও। প্রাণ হাতে করে রোজ আমাদের মাঠে যেতে হচ্ছে চাষ করতে। গেলেই হাতি তাড়া করছে। না গিয়েও উপায় নেই। নাহলে সংসার চলবে না। বন দফতর এর একটা বিহিত করুক। নাহলে ধীরে ধীরে সবাইকে প্রাণ খোয়াতে হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *