পুলিশ সূত্রের খবর, তন্ময়ের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ইপ্সিতার। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তন্ময়। শর্ত হিসাবে চাকরি পাওয়ার আগেই ইপ্সিতার সম্ভাব্য তিন মাসের বেতন বাবদ ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা ধাপে ধাপে নিয়েছিলেন তন্ময়। বদলে দেওয়া হয়েছিল একটি নিয়োগপত্র। সেখানে ইপ্সিতার বেতন লেখাও ছিল। তবে ব্যাঙ্কে সেই নিয়োগপত্র নিয়ে গিয়ে ওই তরুণী জানতে পারেন, তিনি আসলে প্রতারণার শিকার। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইপ্সিতা।
এরপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তন্ময়। বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণেশ্বর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ৯ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে গত শুক্রবার রাতে রানাঘাট থেকে ঋষভ বাচ্ছার ও মিলয় দে নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই তন্ময়ের বিষয়ে তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটি জব সাইটে চাকরি করেছেন তন্ময়। ওই চাকরির সুবাদেই প্রচুর বেকার যুবক-যুবতীর বায়োডেটা সংগ্রহ করে তাঁদের চাকরির ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন তন্ময়। এমনকি প্রতারকদের কাছে বেশকিছু তরুণ-তরুণীর বায়োডেটা তন্ময় বিক্রিও করেছিলেন বলে দাবি পুলিশের। এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।