বিরোধী শিবির স্রেফ কুৎসা করছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হলেও শুভেন্দু কালীঘাটের কাকুকে নিয়োগ-দুর্নীতির টাকার কালেক্টর বলে দাবি করেছেন। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও যউনি। ওঁর গ্রেপ্তারে কোমরের উপরে উঠে এসেছে এজেন্সি, মানে হৃদয়ে এসে গিয়েছে, এর পর এসে কান ধরতে হবে, তা হলেই মাথা আসবে।’
কালীঘাটের কাকুর টাকা প্রোমোটিং-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে, লন্ডন, ব্যাঙ্কক-সহ বিদেশেও টাকা পাঠানো হয়েছে বলে শুভেন্দুর দাবি। তাঁর কথায়, ‘উনি দিল্লিতে গেলে কালো মার্সিডিজ বেনজ ব্যবহার করতেন। নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা কুন্তল-শান্তনুদের চক্র বেহালায় জমা করত। সেই টাকা আবার সুজয়কৃষ্ণ অন্যত্র ট্রান্সফার করতেন।’ বিরোধী দলনেতা তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে আঙুল তোলায় কুণাল বলেন, ‘শুভেন্দু ব্যক্তিগত কুৎসার রাজনীতি করছেন। কোর্টের নির্দেশে সিবিআই কাঁথি পুরসভায় তল্লাশি করলে অধিকারীদের গ্যাস বেলুন ফুটো হয়ে যাবে। কাঁথি পুরসভায় সারদার টাকা ঢুকেছে কিনা যখন প্রমাণিত হবে, কলার ধরে অধিকারী ভাইদের ধরা হবে। তখন শুভেন্দুর কথা বন্ধ হয়ে যাবে।’
অন্য দিকে, কালীঘাটের কাকু ভারতীয় মুদ্রা ডলারে কনভার্সানের কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী। বিধানভবনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করা নয়, এই কালীঘাটের কাকু ডলার কনভার্সানের মাস্টার। যাঁরা ভেবেছিলেন এই তদন্ত থেকে দূরে থাকবেন, তাঁরা কালীঘাটের কাকু গ্রেপ্তার হওয়ায় ডলার কনভার্সান করতে দৌড়াদৌড়ি করছেন।’
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘কাকুর তিনটি কোম্পানি। কুড়িটি সম্পত্তি। তা হলে কাকুর যে ‘বস’, তাঁর সম্পত্তি কত? এই তদন্ত কাকুতে গিয়ে থামলে হবে না, মাথাকে ধরতে হবে।’ বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের এই মন্তব্য নিয়ে কুণালের কটাক্ষ, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি গান্ধী পরিবারকে ডাকলে কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখাবে, অথচ সেই এজেন্সিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে কংগ্রেস এখানে ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো লাফাবে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হোক।’