Kalighater Kaku Arrest : এক সময়ে আরএসএস করত ভাই, দাবি সুজয়কৃষ্ণর দাদার – kalighater kaku was associated with rss said his elder brother


এই সময়: স্কুলে নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এহেন সুজয়কৃষ্ণ সামান্য দোকানদার ছিলেন বলে বুধবার দাবি করলেন তাঁর দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, একটা সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁর ভাই। পরবর্তী সময়ে তৃণমূল করতেন। অজয়কৃষ্ণের বক্তব্য, ‘ও (সুজয়) যদি অন্যায় করে থাকে, তা হলে শাস্তি পাবে। তা না-হলে যেন ছাড়া পায়। আইনজীবীরা নিশ্চয়ই দেখবেন।’

Kalighater Kaku Arrest: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কালীঘাটের কাকুর নাম এল কী ভাবে? সুজয়ের সুজন খুঁজছে ED
মঙ্গলবার প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার আগে তাঁর বাড়ি, অফিস-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একাধিক দফায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বেশ কিছু নথি ও মোবাইল। এই ঘটনা পরম্পরা নিয়ে বুধবার তাঁর দাদা অজয়কৃষ্ণ বলেন, ‘আমাদের আগে মাটির ঘর ছিল। তার রান্নাঘরের জানালা ভেঙে একটা দোকান দিয়েছিল ভাই।

Kalighater Kaku Name: ‘হৃদয় অবধি পৌঁছে গিয়েছে…’, ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক টুইট শুভেন্দুর
পরে একটা ফিনান্স কোম্পানিতে চাকরি পায়।’ এর পর কোথায় চাকরি করতেন? অজয়কৃষ্ণ জানান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ভাই চাকরি করতেন বলে তিনি শুনেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘দু’-এক বার বাড়িতেও এসেছিলেন অভিষেক। আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল ভাই। ব্যস, ওই টুকুই।’ প্রোমোটিংয়ের সঙ্গেও সুজয় যুক্ত ছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। অজয়কৃষ্ণও সে কথা জানান। তবে তিনি বলেন, ‘ওর ডাক নাম শান্টু। ও প্রোমোটিংয়ে কোনও দুর্নীতি করেনি বলেই মনে হয়। ভালো কাজ করেছে বলেই লোকে ডেকে কাজ দিত। তখন বেশ সুনাম ছিল। এখন বদনাম হলো।’

Kalighater Kaku Arrest : চ্যাট মুছেও প্যাঁচে ‘কালীঘাটের কাকু’, মানিকের সঙ্গে নিয়মিত কথা হোয়াটসঅ্যাপে
সুজয়কৃষ্ণ এর আগে নিজে দাবি করেছিলেন, তিনি তৃণমূল করেন। যদিও এ দিন তাঁর দাদা জানান, একটা সময়ে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজয়। অজয়কৃষ্ণের বক্তব্য, ‘আমি আরএসএসের লোক। আমার বড়দা আরএসএসের হোলটাইমার। সুজয়ও করেছে। তবে আরএসএস তো রাজনৈতিক দল নয়। পরে তৃণমূল করত।’ অজয়কৃষ্ণরা যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেখানে আগে তাঁদের পৈতৃক বাড়ি ছিল।

Kalighater Kaku : ED স্ক্যানারে ‘কালীঘাটের কাকু’! সুজয়কৃষ্ণকে CGO-তে হাজিরার নির্দেশ
পরে ভেঙে ফ্ল্যাট হয়। অজয়ের কথায়, ‘আমরা এই ফ্ল্যাটটা তৈরি করেছি মা জীবিত থাকাকালীন। ওরও (সুজয়) এখানে দু’টো ফ্ল্যাট। একটা ওর নিজের, অন্যটা বড়দা অমরকৃষ্ণ ভদ্রের। দাদার ফ্ল্যাটটাও পরে ও নেয়।’ একটা সময়ে নানা রকম ব্যবসা করে সংসার চালিয়েছেন অজয়কৃষ্ণও। তিনি জানান, কখনও বাজি বিক্রি করেছেন, বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৪০ রকমের ব্যবসা করেছেন। ভাইয়ের গ্রেপ্তারিতে তাঁর বক্তব্য, ‘ও যদি অন্যায় করে থাকে, শাস্তি পাবে। না হলে যেন ছাড়া পায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *