মঙ্গলবার প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার আগে তাঁর বাড়ি, অফিস-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একাধিক দফায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বেশ কিছু নথি ও মোবাইল। এই ঘটনা পরম্পরা নিয়ে বুধবার তাঁর দাদা অজয়কৃষ্ণ বলেন, ‘আমাদের আগে মাটির ঘর ছিল। তার রান্নাঘরের জানালা ভেঙে একটা দোকান দিয়েছিল ভাই।
পরে একটা ফিনান্স কোম্পানিতে চাকরি পায়।’ এর পর কোথায় চাকরি করতেন? অজয়কৃষ্ণ জানান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ভাই চাকরি করতেন বলে তিনি শুনেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘দু’-এক বার বাড়িতেও এসেছিলেন অভিষেক। আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল ভাই। ব্যস, ওই টুকুই।’ প্রোমোটিংয়ের সঙ্গেও সুজয় যুক্ত ছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। অজয়কৃষ্ণও সে কথা জানান। তবে তিনি বলেন, ‘ওর ডাক নাম শান্টু। ও প্রোমোটিংয়ে কোনও দুর্নীতি করেনি বলেই মনে হয়। ভালো কাজ করেছে বলেই লোকে ডেকে কাজ দিত। তখন বেশ সুনাম ছিল। এখন বদনাম হলো।’
সুজয়কৃষ্ণ এর আগে নিজে দাবি করেছিলেন, তিনি তৃণমূল করেন। যদিও এ দিন তাঁর দাদা জানান, একটা সময়ে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজয়। অজয়কৃষ্ণের বক্তব্য, ‘আমি আরএসএসের লোক। আমার বড়দা আরএসএসের হোলটাইমার। সুজয়ও করেছে। তবে আরএসএস তো রাজনৈতিক দল নয়। পরে তৃণমূল করত।’ অজয়কৃষ্ণরা যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেখানে আগে তাঁদের পৈতৃক বাড়ি ছিল।
পরে ভেঙে ফ্ল্যাট হয়। অজয়ের কথায়, ‘আমরা এই ফ্ল্যাটটা তৈরি করেছি মা জীবিত থাকাকালীন। ওরও (সুজয়) এখানে দু’টো ফ্ল্যাট। একটা ওর নিজের, অন্যটা বড়দা অমরকৃষ্ণ ভদ্রের। দাদার ফ্ল্যাটটাও পরে ও নেয়।’ একটা সময়ে নানা রকম ব্যবসা করে সংসার চালিয়েছেন অজয়কৃষ্ণও। তিনি জানান, কখনও বাজি বিক্রি করেছেন, বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৪০ রকমের ব্যবসা করেছেন। ভাইয়ের গ্রেপ্তারিতে তাঁর বক্তব্য, ‘ও যদি অন্যায় করে থাকে, শাস্তি পাবে। না হলে যেন ছাড়া পায়।’