এছাড়াও বেআইনিভাবে নয়ানজুলি ভরাটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন নবদ্বীপ ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিক এবং নবদ্বীপ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৬ টি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর আগেও বেআইনিভাবে মাটি কাটার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
তারপরেও প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে ফের নয়ানজুলি বুজিয়ে ফেলার অভিযোগে আজ মাটি বোঝাই ৬ টি ট্রাক্টর আটক করে সেগুলি BDO অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই ২ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবদ্বীপ ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক।
তিনি বলেন, “আগেও বারন করা হয়েছিল এই ধরনের কাজ না করতে। সেই কারণেই মোটা টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ আবার খবর পেলাম যে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। তাই এসে বাজেয়াপ্ত করেছি ট্র্যাক্টর গুলি।”
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন CPIM প্রধানের নাম বিধান ঘোষ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা কল্লোল কর জানান, “এদের চরিত্রের কোনও ঠিক নেই। আজ এরা CPIM তো কালকেই আবার BJP হয়ে যায়। এরা দুই দল মিলে এই এলাকার নয়নাজুলিকে দখল করতে চাইছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেআইনি প্রোমোটিং রাজ। আমরা আমাদের দল থেকে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছি। আগেও বাধা দিয়েছি, আজকেও বাধা দিলাম। পরেও বাধা দেব। এই ধরনের কাজ পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর। এই ধরনের লোকজন সেটা বোঝে না।”
তিনি আরও বলেন, “এটা দুই বিরোধী দলের মিলিত চক্রান্ত। যেহেতু এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে, তাই যে কোনও উপায়ে পরিবেশের ক্ষতি করতে হবে। একটা নয়নাজুলি এভাবে ভরাট করে দেওয়া মানে যে পরিবেশের কত বড় ক্ষতি, তা এলাকার মানুষ ভালো করে জানেন। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল এই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবে।”