তিনি ভারত সেবাশ্রম সংঘের সদস্য। বৃহস্পতিবার তিনি রায়গঞ্জের ভারত সেবাশ্রম থেকে কাশীবাটি এলাকায় মাসিক চাঁদা সংগ্রহে যান। সেখানে এক বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকেদের অনুপস্থিতির সুযোগে এক নাবালিকার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকার শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
স্বামীজির এমন আচরণে প্রথমে হকচকিয়ে যায় ওই নাবালিকা। পরে কোনওক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে গোটা ঘটনার কথা মাকে জানায় সে। ঘটনার খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে বাড়িতে এসে অভিযুক্ত স্বামীজিকে আটকে রাখেন পরিবারের লোকজন। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই সেখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। বেধড়ক মারধর করা হয় স্বামীজিকে। পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনও অভিযুক্ত স্বামীজির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সংঘের কর্তৃপক্ষকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সংঘের অধ্যক্ষ স্বামী নিরঞ্জনানন্দজি মহারাজ। তিনি ঘটনার চরম নিন্দা করার পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সংঘের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গেলে। অভিযুক্ত স্বামীজিকে মারধরের পাশাপাশি আশ্রমের একটি গাড়িতেও ভাংচুর করে উত্তেজিত জনতা।
আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই স্বামীজি গত ছয় মাস আগে রায়গঞ্জের চন্ডীতলায় অবস্থিত ভারত সেবাশ্রম সংঘের একটি শাখায় দায়িত্বে ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তিনি রায়গঞ্জের আশ্রমে আসেন। এই গুরুতর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশও। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত স্বামীজি ও গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
নাবালিকার মা বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়ির পাশে কাজে গিয়েছিলাম। আমার দুই মেয়ে বাড়িতে ছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়ের গালে চুমু খেয়েছে এবং তার গায়ে হাত দিয়েছে। আমার মেয়ে সাহসী বলে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানায়।’
রায়গঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সংঘ স্বামী নিরঞ্জনানন্দজি মহারাজ বলেন, ‘যে অন্যায় করেছে তার শাস্তি হবে। খুবই খারাপ কাজ করেছে। তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিৎ। সঙ্ঘ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’