গতকাল বুধবার ভোরে বাইক নিয়ে তারাপিঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের গোটু গ্রামের হাজরা দম্পতি। দুপুর বারোটা নাগাদ তারাপিঠ পৌঁছে পুজো দেন। খাওয়া দাওয়া করে কিছুটা সময় কাটিয়ে বাড়ির জন্য রওনা হন। পথে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা দাঁড়িয়ে আবার বৃষ্টি থামলে বাইক চালিয়ে ফিরতে থাকেন।
পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে দুজনে চা খেয়ে বাইক চালু করে রাস্তায় উঠতেই পিছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা মারে তাঁদের। ডানদিকে রাস্তায় পরে যান লিপিকা। তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রাক। বিপরীত দিকে পরে আহত হন মহানন্দ। লিপিকার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে পুলিশ।
তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় পুলিশ। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শক্তিগড়ে পৌঁছয়। আজ সকালে বাড়ি ফেরেন আহত। মহানন্দ হাজরা নিজে গান, যাত্রা অভিনয় করেন। তার স্ত্রীও ভালো গান করতেন। ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েকেও গান শিখিয়েছেন। ভালো করে তালিম দিয়ে মেয়েকে গাইয়ে করার ইচ্ছা ছিল দম্পতির। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া গোটু গ্রামে। ট্রাকের বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা হয় বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত জানুয়ারি মাসেই হুগলি জেলার পোলবা দুর্ঘটনা ঘটে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। বিশ্বনাথ পাল (৫৫) নামের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। জানা যায়, স্থানীয় পাইকারি বাজারে সাইকেল করে সিম বিক্রি করতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। সেই সময় পেছন থেকে একটি লরি এসে তাঁকে পিষে দিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মৃতেদহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। একাধিক বার হুগলি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের আরও নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে জানান স্থানীয়রা।