জানতে চাইছেন আসল ঘটনা কি। কিন্তু গাড়ি বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন পাহাড়ের গাড়ি চালকেরা। অন্যদিকে যেভাবে হোয়াটস অ্যাপে ভুয়ো বার্তা ছড়াচ্ছে তাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন গাড়ি চালকেরা। প্রধাননগর থানায় তরাই চালক সংগঠনের তরফে একটি অভিযোগও জানানো হয়েছে।
সংগঠনের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কেউ এভাবে গাড়ি বনধ বলে খবর ছড়াচ্ছে। এর সঙ্গে সংগঠনের কোনও যোগ নেই। তরাই চালক সংগঠনের কর্মকর্তা মেহবুব খান এই বিষয়ে জানান, “দুদিন ধরেই প্রচুর মানুষের ফোন আসছে মোবাইলে। অনেকেই বলছেন যে ২রা ও ৩রা জুন গাড়ি বনধ। কিন্তু এমন কিছু নেই।
আমরা কেউ বনধ ডাকিনি। এমন কোনও সিদ্ধান্তও হয়নি। কেউ বা কারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বনধের কথা ছড়িয়েছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি আমরা”। এদিকে হোটেল ও ট্যুর অপারেটরদের তরফেও পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কোনও গাড়ি বনধ নেই। স্বাভাবিক থাকবে যান চলাচল।
আর একথা শুনে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন পাহাড়ে এই মুহূর্তে থাকা পর্যটকরা ও যারা পাহাড় যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির একটা বড় অংশের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তরবঙ্গ। বাংলার এই প্রান্তে একগুচ্ছ এমন নজরকাড়া-অপূর্ব পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে একবার গেলে মনে হবে ফিরে যাই বারবার।
আর এই বছরের গরমের মরশুমে পর্যটকদের মারাত্মক ঢল নেমেছে উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে দার্জিলিঙয়ে। কিন্তু পর্যটকদের মতে, ভরা মরশুমের মাঝে যদি কেউ এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেন, তাহলে আতঙ্কের মধ্যেই থাকতে হয় বৈকি।