SSKM Hospital : আইসল্যান্ড, কাজাখস্তানের রোগীদের চিকিৎসা কী ভাবে, কমিটি বাংলায় – thinking about the management and treatment policy of foreign patients has started within the health department of the west bengal government


এই সময়: পড়শি রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, ওডিশা তো ছিলই। প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের রোগীরাও বিনামূল্যে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে আসছেন বাংলায়। এমনকী, আইসল্যান্ড, কাজাখস্তান, জিব্রাল্টারের মতো অনেক দূরের দেশের রোগীরাও সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্দরে বিদেশি রোগীদের ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা-নীতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট একটি নীতি তৈরির উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। বুধবার সেই কমিটি তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।

SSKM Hospital : হৃদরোগ-স্ট্রোক আক্রান্তদের চিকিৎসায় নয়া পদক্ষেপ, SSKM-এ চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক ইউনিট
সাত বছর আগে রাজ্যবাসীর জন্য সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হওয়া ইস্তক প্রায় সব হাসপাতালেই প্রতি বছর লাফিয়ে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। ধীরে ধীরে কলকাতায় দেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আর সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, বিদেশি নাগরিকরাও রয়েছেন এই তালিকায়। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর দরকার হয়। কিন্তু বিদেশিদের ক্ষেত্রে কী হবে, তাঁদের কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই কমিটি গঠিত হয়েছে।’

Uttar Dinajpur : বেপাত্তা করোনা রোগীকে খুঁজতে বাড়িতে আশাকর্মী
পিজি-র অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কমিটির শীর্ষে। মণিময় ছাড়া কমিটিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তা সুপর্ণা দত্ত ও অশ্বিনীকুমার মাজি, যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী এবং অতিরিক্ত স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুমন ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ওই কমিটি প্রাথমিক যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তাতে আপাতত পাসপোর্ট নম্বরের সাহায্যে বিদেশি রোগী ভর্তির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সরকারি হাসপাতালে বিদেশিদের চিকিৎসা বিনামূল্যেই মিলবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

Jalpaiguri Hospital : বন্ধ USG, ছুটিতে ৩ রেডিওলজিস্ট! সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থায় রোগীরা
সরকারি নথি বলছে, বাংলায় চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্য নিয়েই যেমন রোগী আসেন পড়শি বিভিন্ন রাজ্য ও দেশগুলো থেকে, দূরবর্তী দেশের রোগীদের ক্ষেত্রে ঠিক তেমনটা ঘটে না। এ রাজ্যে এসে ঘটনাচক্রে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেই ওই সব রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। যেমন, আইসল্যান্ডের নাগরিক এক মহিলা বাংলায় এসে সন্তান প্রসব করেন এবং তাঁর নবজাতক বেশ কিছু দিন চিকিৎসাধীন ছিল এসএসকেএমের নিওনেটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (নিকু)। আবার কাজাখস্তানের দুই নাগরিক ও জিব্রাল্টারের এক নাগরিকও কলকাতায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে। স্বাস্থ্য ভবনের নথি বলছে, গত পাঁচ বছরে আইসল্যান্ডের অন্তত ১১ জন নাগরিক এসএসকেএমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন।

Alipurduar District Hospital : হাতে লেখা প্রেসক্রিপশনের দিন শেষ? আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে চালু অভিনব পরিষেবা
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলছেন, ‘দূরবর্তী দেশগুলি নিয়ে উদ্বেগ নেই। সেই সব দেশের রোগীদের সংখ্যা নগণ্য। কিন্তু পড়শি দেশগুলি থেকে যে ভাবে দিনকে দিন রোগীর সংখ্যা এই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে বেড়েই চলেছে, তাতে আমরা চিন্তিত। এই নিয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতি নির্ধারণের প্রয়োজন।’

Malda News : রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মোবাইল ছুঁড়ে মারার অভিযোগ, উত্তেজনা মালদার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৩১২ জন বাংলাদেশি চিকিৎসা করিয়েছেন মূলত কার্ডিয়োলজি, কার্ডিয়োথোরাসিক ভাস্কুলার সার্জারি, মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ও হেমাটোলজি বিভাগে। তাঁদের মধ্যে অনেকের অস্ত্রোপচারও হয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত দু’বছরে চিকিৎসা করিয়েছেন অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশি। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও বাংলাদেশ-ভুটান-নেপাল মিলিয়ে গড়ে প্রতি বছর ৩০-৪০ জন বিদেশি চিকিৎসা করিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *