দুষ্কৃতীদের মারধরে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর আহত হন। মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রীবাস মণ্ডল জানিয়েছেন, “ঘটনার সময় আমরা কেউ ছিলাম না। পরে ডাকাতির ঘটনা জানতে পারি। এর আগে কোনোদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এই এলাকায় বহু বছর পরে চুরির ঘটনা শোনা গেল। তাও আবার মন্দিরে চুরি এই প্রথম। যদি প্রথমেই চোরদের না ধরা যায় তো এদের সাহস আরও বেড়ে যাবে ও আরও এই ধরনের কর্মকাণ্ড হতে থাকবে।”
এদিকে, মন্দিরে থাকা CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে প্রায় ৬-৭ জন দুষ্কৃতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মন্দিরের দানবাক্স নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিতে গেলে কর্তব্যরত দুই সিভিক ভলান্টিয়ার আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে, এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে চোপড়া থানার দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। অবরোধের জেরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়ে পরে। গ্রামবাসীদের দাবি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে তাঁরা পথ অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
এই বিষয়ে মন্দির কমিটির সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, “মন্দিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁদের মারধর করে দান বাক্স নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমত চিন্তিত আমরা।” অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অন্যদিকে, কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।
যদিও সূত্রের খবর, এই দুষ্কৃতীদের তল্লাশিতে গোটা জেলা জুড়েই অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ। পুলিশের আশা, খুব তাড়াতাড়ি এই গ্যাংটিকে ধরতে তাঁরা সক্ষম হবেন।